Health

ব্রিটেনের নতুন করোনার স্ট্রেন ঢুকে পড়ল ভারতেও

এবার ভারতেও ঢুকে পড়ল ব্রিটেনের নতুন করোনা স্ট্রেন। ব্রিটেন থেকে ভারতে আসা ৬ জনের দেহে এই নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। যা নতুন চিন্তার জন্ম দিল।

নয়াদিল্লি : ভারত সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে ভারতে এখন করোনা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। কমছে করোনা সংক্রমণ। কমছে দৈনিক মৃত্যু। কিন্তু এই ধারা কী ধারাবাহিক হতে পারবে?

সাধারণভাবে যা গত ২ মাসে দেখা গেছে তাতে ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে। কিন্তু সেই উন্নত হতে থাকা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল ভারতেও খোঁজ মেলা ৬ ব্রিটেন ফেরতের দেহে করোনার নতুন স্ট্রেনের উপস্থিতি। যা নতুন করে চিন্তার কারণ হল সরকার থেকে সাধারণ মানুষের।


ব্রিটেন সরকার কিছুদিন আগে জানায়, তাদের দেশে মিউটেট করা করোনা ভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। যার সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি।

তার জেরে দ্রুত ব্রিটেনে নিউ নর্মাল জীবনে কালো ছায়া নেমে আসে। ফের প্রায় লকডাউনের রাস্তায় হাঁটে ব্রিটেন। এদিকে ইউরোপীয় দেশগুলি একে একে একথা জানার পর তাদের দেশে ব্রিটেন থেকে আসা বিমান ও ট্রেন বন্ধ করে দেয়।


তাতেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক-এর মত ইউরোপীয় দেশ সহ কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, লেবানন, সিঙ্গাপুরেও এই নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মেলে। তাতে এসব দেশেও প্রবল সতর্কতা জারি হয়েছে।

এরমধ্যেই ভারত ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ আপাতত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে। কিন্তু তার আগেই তো ব্রিটেন থেকে বহু মানুষ ভারতে এসেছেন।

হিসাব বলছে নভেম্বরের ২৫ তারিখ থেকে ২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ভারতে ৩৩ হাজার মানুষ ব্রিটেন থেকে এসেছেন। যাঁদের মধ্যে ১১৪ জনের দেহে করোনা এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে।

এই ১১৪ জন ব্রিটেন থেকে ভারতে ঢোকা মানুষের মধ্যে ৬ জনের দেহে এবার মিলল ব্রিটেনের করোনার নতুন স্ট্রেন। বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও পুনেতে এঁদের পাওয়া গিয়েছে।

জানার পরই এঁদের দ্রুত আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এঁদের আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে। এঁদের পরিবারের সকলকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। বিমানে এঁদের সঙ্গে আসা সকলের দিকেও নতুন করে নজরদারি শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ব্রিটেনে অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে নতুন করে ছাড়াতে শুরু করেছে সংক্রমণ। তারপরই ব্রিটেন সরকার নতুন স্ট্রেনটির কথা জানায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button