করোনার হাত ধরে এবার নতুন চিন্তা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস
করোনার হাত ধরে এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যা মানুষের প্রাণ কাড়তে পারে অচিরেই। এর ওষুধ প্রস্তুতের অনুমতি পেল ভারতীয় সংস্থা।
নয়াদিল্লি : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি তীব্র। তাই এটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে যায় একজন মানুষের শরীর থেকে আর একজন মানুষের শরীরে। কিন্তু এর সংক্রমণের হার যতটা বেশি, মৃত্যুর হার সেই তুলনায় নিতান্তই কম। যারফলে বেশিরভাগ আক্রান্তই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু সুস্থ হওয়ার পরও বিপদ কাটছে না তাঁদের। করোনাজয়ী মানুষদের অনেকের শরীরে নতুন করে হানা দিচ্ছে এক বিশেষ প্রজাতির ছত্রাক।
‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নামের এই ছত্রাকের আক্রমণ চিকিৎসকদের ভাবিয়ে তুলছে। তবে আশার খবর, ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত সেরামস অ্যান্ড ভ্যাক্সিনস লিমিটেড এই ছত্রাকের সংক্রমণ রুখতে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রস্তুত করার অনুমতি পেয়েছে সরকারের থেকে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হানায় মানুষের শরীরে দেখা দেয় মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণ। অতিমারির আগে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ খুব বেশি দেখা যেত না, তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীরে এর হানা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে।
হাসপাতালগুলিতে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষদের আবার অসুস্থ হয়ে ভর্তি হতে। গতবছর দিল্লির হাসপাতালগুলিতে ৫০-এরও বেশি রোগীর শরীরে ধরা পড়েছে মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণ।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন মিউকোরমাইকোসিসে মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশেরও বেশি। করোনাজয়ীদের মধ্যে যাঁরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও এডসের মত অসুখে আগে থেকেই আক্রান্ত ছিলেন তাঁদেরই মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। একে শনাক্ত করে চিকিৎসা না শুরু করলে ২ দিনের মধ্যেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, বিশেষত মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। যা থেকে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
ভারত সেরামস অ্যান্ড ভ্যাক্সিনস লিমিটেড মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণ আটকাতে ‘এলএএমবি’ নামে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ তৈরি করার জন্য ভারতে প্রথমবার সরকারি অনুমোদন পেয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা