Health

মানসিক অবসাদ বাড়াচ্ছে ২টি ইন্দ্রিয়ের সমস্যা

অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। এর অনেক কারণ থাকে। কিন্তু ২টি ইন্দ্রিয়ের সমস্যাও যে জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে তা একটি গবেষণা থেকে উঠে এল।

লন্ডন : ৫টি ইন্দ্রিয়ের অনুভূতি ছাড়া মানুষ একেবারেই অচল। বাইরের পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলার জন্য আমাদের চোখ, কান, নাক, জিভ আর ত্বকের থেকে প্রাপ্ত অনুভূতিগুলি ভীষণ ভাবে জরুরি।

যদি কারও শরীরে ৫ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে একটিতেও কোনও সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তাঁর স্বাভাবিক জীবনচর্চায় বাধা পড়ে। এর প্রভাব পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যেও।


সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শরীরের সমস্যা কিভাবে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যেও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে সেটিই গবেষকরা তাঁদের গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন। এমনকি মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ‘সেন্সরি লস’ যে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তাও জানিয়েছেন গবেষকরা। যা কার্যত সকলকে চমকে দিয়েছে।

কানে শোনার সমস্যা বা দেখার সমস্যা যে মহিলাদের কতটা ক্ষতি করছে তা গবেষণায় উঠেছে এসেছে। যা অবশ্যই অত্যন্ত উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। কারণ মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিষয়টি এতটাই প্রভাব ফেলছে যে তা তাঁদের জীবন বদলে দিচ্ছে।


গবেষণাপত্র থেকে জানা গেছে দেখা বা শোনার সমস্যায় ভুগছেন যে সমস্ত মহিলারা তাঁরাই বেশি করে মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছেন। পুরুষদের সাথে তুলনা করলে সংখ্যাটি ২ থেকে ২.৫৬ গুন বেশি। ফলে কান বা চোখের সমস্যায় ভোগা পুরুষরা মানসিকভাবে যতটা বিপর্যস্ত থাকছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি থাকছেন মহিলারা।

এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি উঠে এসেছে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ জেরিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে। এই গবেষণাপত্রের মুখ্য লেখিকা অ্যাঙ্গলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহিনা পরধান বলেছেন, দেখা বা শোনার সমস্যায় ভোগা মানুষদের মধ্যে বেশি মাত্রায় মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। তার মধ্যে আবার মহিলাদের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বেশি।

গবেষণাটির জন্য মোট ২৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাঁদের থেকে জানা হয় তাঁরা মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগ অনুভব করছেন কিনা। তার সাথে তাঁদের শোনা ও দেখার সমস্যা আছে কিনা তাও জানান তাঁরা। এর থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যে শারীরিক সমস্যা বা অক্ষমতাগুলি খুব বেশি মাত্রায় প্রভাব ফেলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button