Health

অতিমারি ঘরে ঘরে বাড়িয়েছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী

অতিমারিতে অনেক পরিবারের অন্দরেই ধোঁয়ার কুণ্ডলী মাত্রা ছাড়িয়েছে। সে ধোঁয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। এদিকে কয়েকজনের এই অভ্যাস বদলেও দিয়েছে অতিমারি।

নিউ ইয়র্ক : অতিমারি সবাইকে ঘরবন্দি করেছিল অনেকটা সময়। অফিসের কাজ, তাও বাড়ি থেকে। অনেকটা সময় হাতে পেয়ে গিয়েছিলেন মানুষ করোনা অতিমারির শুরুর দিকে। অঢেল সময় কীভাবে কাটানো যায় তা ভেবে পাচ্ছিলেন না অনেকে।

মনের মধ্যে একটা চাপা চিন্তাও কাজ করছিল। একে তো হাতে অঢেল সময়। তার ওপর করোনা সংক্রমণের ভয়। ভয় থেকে চিন্তা। আর চিন্তা থেকে ঠোঁটের ডগায় সিগারেটের ধোঁয়ার কুণ্ডলী।


অতিমারির শুরুর দিকে তাই মানুষের মধ্যে ধূমপান করার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। এমনটাই জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমীক্ষা।

সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য থেকে সমীক্ষকরা সাফ জানাচ্ছেন করোনা অতিমারির শুরুর দিকে মানুষের হাতের অঢেল সময় ও দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে ধূমপান করার মাত্রা। সমীক্ষাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এ।


পেনসিলভানিয়ার ২৯১ জন ধূমপায়ীর ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়। নানা প্রশ্ন করার মাধ্যমে তাঁদের থেকে জানা হয় কোন কারণে তাঁরা অতিমারি শুরুর প্রথম কিছু মাসে ধূমপানের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পাওয়া উত্তরের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে আসে কয়েকটি কারণ।

প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন জানিয়েছেন, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অঢেল অবসর তাঁদের ধূমপানের মাত্রা বাড়ানোর অন্যতম কারণ।

বেশির ভাগ অফিসেই ধূমপানের ক্ষেত্রে অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে। সব জায়গায় ধূমপান করা যায়না। কিন্তু অতিমারির ফলে ঘরে বসে কাজ করার সুবিধার্থে অনেকেই সিগারেটে টান দেওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে ফেলেছেন।

অবশ্য এর বিপরীত একটি দিকও উঠে এসেছে সমীক্ষায়। প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ জানিয়েছেন এই লকডাউনের সময়েই তাঁরা চেষ্টা করেছেন সিগারেট ত্যাগ করার। ১০ শতাংশ তো কমিয়েই ফেলেছেন ধূমপান।

পরিবারের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ও রুটিনের পরিবর্তনের ফলে তাঁদের এই চেষ্টা সফলও হয়েছে। যা একটি আশাপ্রদ দিক বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।

করোনা ভাইরাস সংক্রমিত করে ফুসফুসকে। আর ধূমপান সুস্থ ফুসফুসের ক্ষতি করে ধীরে ধীরে। তাই ধূমপায়ীদের করোনা সংক্রমণে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। অনেকেই স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে সিগারেট ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। ২৯১ জনের মধ্যে সফলও হয়েছেন ৭ জন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button