পড়শি রাজ্যেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ৬
পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্যেও এবার মিলল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ব্যক্তি। ৬ জনের দেহে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। যা এ রাজ্যকেও চিন্তায় রাখছে।
মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে আগেই মিলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ব্যক্তি। যা নিয়ে ২ রাজ্যের প্রশাসনই চিন্তায়। সাধারণত করোনা থেকে সেরে ওঠা বা সেরে উঠছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ দেখা যায়। এটা বিরল রোগের তালিকায় পড়ে।
কিন্তু ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষের দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ পাওয়া গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ৫০ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত।
এবার দেশে তৃতীয় রাজ্য হিসাবে বিহারে পাওয়া গেল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী। পাটনা এইমস সহ সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ৬ জনের দেহে এই রোগের দেখা মিলেছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস-এর উপসর্গগুলি হল মাথা ব্যথা, চোখের তলার কাছে ব্যথা, জ্বর আসা, সাইনাসের কাছে সর্দি জমা এবং দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসা।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সাধারণত সাইনাস, মস্তিষ্ক ও ফুসফুসের ভয়ংকর ক্ষতি করছে। যা অনেক ক্ষেত্রে প্রাণও কেড়ে নিতে পারে। সাধারণত শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এই রোগ বেশি হয়।
বিহারে যে ৬ জনের দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস পাওয়া গিয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই করোনা থেকে সেরে উঠেছিলেন।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হানায় মানুষের শরীরে দেখা দেয় মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণ। অতিমারির আগে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ খুব বেশি দেখা যেত না, তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীরে এর হানা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন মিউকোরমাইকোসিসে মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশেরও বেশি। করোনাজয়ীদের মধ্যে যাঁরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও এডসের মত অসুখে আগে থেকেই আক্রান্ত ছিলেন তাঁদেরই মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা