ঝকঝকে সুন্দর মুখ চান, প্রতি সপ্তাহে বদলান বিছানার এই জিনিসটি
ঝকঝকে সুন্দর মুখ কে না চান। সুন্দর মুখ কেবল নারী নয়, পুরুষরাও চান। যা পাওয়া যেতে পারে প্রতি সপ্তাহে মনে করে বিছানার একটি জিনিস বদলে ফেললে।
ঝকঝকে মুখ পেতে মানুষ কি না করে। পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল সহ অন্য অনেক পরিচর্যা থেকে শুরু করে ঘরোয়া নানা টোটকা। যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করেন সকলে। সময়ও ব্যয় করেন।
মুখে লাগানোর প্যাকও ব্যবহার করেন অনেকে। সেইসঙ্গে ত্বকের পক্ষে উপকারি খাবারে জোর দেন। সঠিক পরিমাণ জল পান করেন। ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলেন। ফেস ক্রিমও ব্যবহার করেন।
এমন কত কিছুই তো মানুষ করেন সারাদিনে। তারপর রাতে ঘুমোতে চলে যান বিছানায়। রাতে সুন্দর ঘুমও ত্বকের এক প্রকার যত্নের মধ্যে পড়ে। কিন্তু অনেকেই জানেন না সারা রাতে একটা অতিসাধারণ ভুলে তাঁদের চামড়ার অজান্তেই ক্ষতি হয়।
রাতে যে বিছানায় শুতে যান সেই বিছানার চাদর, পা বালিশ, মাথার বালিশ সবই সুন্দর নরম আবরণে ঢাকা থাকে। যাকে সহজ কথায় পিলো কভার বলে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন এই পিলো কভারেই লুকিয়ে থাকে অজানা শত্রু।
রাতে যখন মানুষ ঘুমোন তখন তাঁদের চামড়ার থেকে খসে যাওয়া মরামাস বা ডেড স্কিন বালিশের কভারে লেগে যায়। যা বালিশের ধূলিকণার সঙ্গে মিশে যায়।
রাতে ঘুমোনোর সময় এক রাতে মানুষের দেহ থেকে ২০০ কোটি ডেড স্কিন ঝরে পড়ে। যা সবচেয়ে বেশি জমা হয় মাথার বালিশের কভারে। যাকে পিলো কভার বলা হয়।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন প্রতি সপ্তাহে অবশ্যই যেন একবার পিলোকভার পরিবর্তন করা হয়। পারলে তার চেয়েও কম দিনের ব্যবধানে পিলোকভার বদল করা জরুরি। এতে ওই ডেড স্কিন ধূলিকণার সঙ্গে মিশে আর চামড়ার ক্ষতি করতে পারবেনা। বিশেষত মুখের চামড়ার ক্ষতি করতে পারেনা। ফলে মুখ থাকে ঝকঝকে, সুন্দর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা