স্মার্টফোনে চোখের ছবিতোলা প্রবলভাবে ক্ষতিকর
এই বাড়তে থাকা প্রবণতা আসলে ভুল চিকিৎসার রাস্তা খুলে দিচ্ছে। এমনই দাবি করলেন একদল গবেষক। ইংল্যান্ডের গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছন।
আজকাল অনেক চিকিৎসকই চোখের চিকিৎসার জন্য রোগীর চোখের ছবি নিজের স্মার্টফোনে তুলে নেন। যার সঙ্গে বিভিন্ন চোখের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রের যোগ থাকে। সেখানে ছবিটি পৌঁছে যায়।
তারপর সেই ছবি দেখে তার ভিত্তিতে চিকিৎসা হয় রোগীর। এই প্রবণতা বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে। অনেক চক্ষুবিশেষজ্ঞই সহজলভ্য বলে স্মার্টফোনে চোখের ছবি তুলে থাকেন।
এই বাড়তে থাকা প্রবণতা আসলে ভুল চিকিৎসার রাস্তা খুলে দিচ্ছে। এমনই দাবি করলেন একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, বিভিন্ন স্মার্টফোন তৈরি করে বিভিন্ন সংস্থা। ফলে তাদের ক্যামেরা এক এক রকম হয়। ফলে ছবিতেও তার প্রভাব পড়ে।
চোখের ছবি তুললে সেই ছবিতেও এই তারতম্য থেকে যায়। আর ছবিতে তারতম্য থাকা মানেই ভুল চিকিৎসা হওয়ার সম্ভাবনা। কারণ ওই ছবির ভিত্তিতে চিকিৎসা করেন চিকিৎসক। ছবিই ভুল হলে চিকিৎসাও ভুল হয়।
ইংল্যান্ডের রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর জন্য ৩টি স্মার্টফোন দিয়ে ১৯২ জন রোগীর চোখের ছবি নেন।
যেখানে লাইট লেভেল ও জুম লেভেল আলাদা করা হয়। পরে ওই স্মার্টফোনগুলি থেকে তোলা একই রোগীর ছবি ম্যাচ করে দেখা যায় ছবিতে তারতম্য রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা