টিকার ২টি ডোজ নিয়েও কাজ হচ্ছেনা, কাদের ক্ষেত্রে জানাল গবেষণা
করোনা প্রতিষেধক টিকার ২টি ডোজ মানেই টিকার পুরো কোর্স সম্পূর্ণ করা। কিন্তু তা করেও অনেকের কাজের কাজ হচ্ছেনা। কেন এবং কাদের ক্ষেত্রে তা পরিস্কার করল গবেষণা।
করোনা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় নিয়মবিধি মেনে চলা জরুরি। আর দরকার সময়মত প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ। করোনার ২ ডোজের প্রতিষেধক টিকা নিলে তাতে কোর্স পূর্ণ হচ্ছে। আর তা শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। যা করোনা ঠেকাতে পারে।
কিন্তু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ২টি ডোজ সম্পূর্ণ করার পরেও তাঁদের শরীরে সেভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছেনা। কারও একেবারেই হচ্ছেনা। কারও অতি কম। কেন এমনটা হচ্ছে? সেই গবেষণা শুরু করেন ব্রিটেনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, যাঁরা রিটুক্সিম্যাব-এর মত খুব কড়া ওষুধ খান, তাঁদের ক্ষেত্রে ২টি ডোজ নেওয়ার ৪ সপ্তাহ পরেও পরীক্ষা করে নজরে পড়ার মত অ্যান্টিবডির খোঁজ মেলেনি।
৬৬ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা গেছে ৪০ শতাংশের দেহে কম অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এঁদের মধ্যে আবার অ্যান্টিবডি তৈরি প্রায় হয়নি ১১ শতাংশের ক্ষেত্রে।
এর বাইরে স্বেচ্ছাসেবকদের ৬০ শতাংশের দেহেই নজরে পড়ার মতন টি-সেল তৈরি হয়েছে। যা করোনাকে শরীর থেকে তাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।
তাহলে বাকি ৪০ শতাংশের ক্ষেত্রে কী হবে? যাঁদের ক্ষেত্রে ২টি ডোজেও যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি, তাঁদের কীভাবে সুরক্ষিত করা যায়?
এক্ষেত্রে তৃতীয় একটি বুস্টার ডোজ তাঁদের প্রদানের বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। গবেষকদের ধারণা এই বুস্টার ডোজ পড়লে হয়তো তাঁদের দেহে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যেতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা