করোনা রুখতে কতটা কার্যকরী সার্জিকাল মাস্ক, জানাল গবেষণা
সার্জিকাল মাস্ক বাজারে সহজলভ্য। স্বল্প মূল্যে পাওয়াও যায়। কিন্তু করোনা রুখতে এর কার্যকারিতা কতটা, এই প্রশ্নের উত্তর দিল একটি গবেষণা।
করোনা রুখতে যে ৩টি প্রাথমিক বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে তা হল, মাস্ক পরা, হাত স্যানিটাইজ করা এবং ২ জনের মধ্যে ২ গজের দূরত্ব রাখা।
এই প্রাথমিক শর্ত মেনে চললে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটা কমে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। ফলে করোনা ছড়ানোর পর থেকে মাস্কের চাহিদা হুহু করে বেড়েছে। সেইসঙ্গে এসেছে রকমারি মাস্ক।
এন৯৫ মাস্কের দাম এখন কিছুটা কমলেও প্রাথমিক অবস্থায় দাম ছিল যথেষ্ট। এখনও যে তা খুব কম তেমনটা নয়।
এছাড়াও কাপড়ের নানা রংবাহারি মাস্ক বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়ে ৬ স্তর বিশিষ্ট, ৪ স্তর বিশিষ্ট, ৩ স্তর বিশিষ্ট নানা মাস্ক।
মাস্ক তো মাস্কই ভেবে মানুষ যেটা সামর্থ্যে কুলিয়েছে সেটাই কিনেছেন। কেউ আবার দেখতে ভাল লাগছে কিনা সেদিকটা মাথায় রেখে মাস্ক বেছে নিয়েছেন।
কিন্তু মাস্ক করোনা থেকে রক্ষা করার রক্ষাকবচ। তাই তা দেখতে ভাল, না বহুমূল্য তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা কার্যকরী কিনা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে, কাপড় জাতীয় জিনিসে তৈরি মাস্কের চেয়ে অনেক ভাল সার্জিকাল মাস্ক।
করোনা রুখতে সার্জিকাল মাস্কের জুড়ি নেই বলেই অভিমত গবেষকদের। সার্জিকাল মাস্কই কিন্তু বাজারে থাকা সেই মাস্ক যা অধিকাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পড়ে।
খুব বেশি হলে ৫ টাকায় সার্জিকাল মাস্ক বাজারে এখন পাওয়া যায়। অন্যদিকে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হওয়া কাপড়ের মাস্ক কিন্তু করোনা রুখতে একেবারেই প্রায় সক্ষম নয় বলে জানিয়েছে গবেষণা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা