ঋতুকালীন সমস্যা তৈরি করেছে করোনার মানসিক চাপ
করোনাকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা মানসিক চাপ ঋতুকালীন শারীরিক সমস্যা তৈরি করেছে। যে সমস্যায় জর্জরিত ৫৪ শতাংশ মহিলা। এমনই বলছে গবেষণা।
করোনা মানব জীবনে নানা ক্ষতি করে গেছে। শারীরিক ক্ষতি, মানসিক ক্ষতি, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং অনেক পরিবারে পরিজন হারানোর ক্ষতি। গোটা বিশ্বকে ঠেলে দিয়েছে পুরনো স্বাভাবিক ছন্দবিহীন নিউ নর্মাল নামক জীবনে।
করোনা মানসিক দিক থেকে অনেক মানুষের ক্ষতি করেছে। করোনা দাপট শুরুর পর থেকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কমবেশি মানসিক চাপের মধ্যে পড়েছেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ এক শারীরিক সমস্যার জন্ম দিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বের ৫৪ শতাংশ মহিলারই ঋতুস্রাবের মাসিক চক্র ভেঙে গিয়েছে। বিভিন্ন মাসে বদলে যাচ্ছে ঋতুস্রাবের সময়। অথচ এমনটা তাঁদের করোনার আগে ছিলনা। একটা নিয়ম মেনে মাসিক হচ্ছিল প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে।
ঋতুস্রাবের সময় এদিক ওদিক হওয়াটা অনেকের শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আবার দেখা যাচ্ছে অনেক মহিলা যাঁরা নানা কারণে অতিরিক্ত মানসিক চাপের শিকার হয়েছেন করোনার সময় তাঁদের অনেকের অতিমাত্রায় ঋতুস্রাব হচ্ছে। তুলনায় চাপ যাঁদের কিছুটা কম ছিল তাঁদের কম হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন অতিরিক্ত চাপ মানুষের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে প্রভাব ফেলে। ভাল থাকায় প্রভাব ফেলে। সেটাই হয়েছে মহিলাদের ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রেও।
২০০ জন বিভিন্ন বয়সের মহিলাকে পর্যবেক্ষণে রাখার পর গবেষকেরা ঋতুস্রাবের সময় পরিবর্তন নিয়ে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন। এমনকি তাঁরা এটাও জানিয়েছেন অতিরিক্ত মানসিক চাপে পড়া মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব যেমন বেড়েছে তেমনই তাঁদের পিরিয়ডের সময়ও দীর্ঘায়ত হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা