করোনা ভাগাতে এবার মাশরুমকে হাতিয়ার করছেন গবেষকরা
করোনা কী করে তাড়ানো যায় তার নানা চেষ্টা চলছে। এবার মাশরুম দিয়ে করোনা তাড়ানোর পথ খুলছেন গবেষকেরা। বাদ যাচ্ছেনা চিনা হার্বসও।
করোনা ভাগাতে গবেষণা চলেই চলেছে। টিকা তৈরি হোক বা ট্যাবলেট তৈরি, অথবা কোনও বিশেষ খাবার, নিশ্চিত কোনও উপায়ের পথ খুলতে চলছে মরিয়া প্রচেষ্টা।
এবার মার্কিন গবেষকদের একটি দল দাবি করল ওষধি গুণযুক্ত মাশরুম করোনা তাড়াতে অব্যর্থ হতে পারে। তাও আবার যে সে করোনা রোগী নয়। করোনা সংক্রমণের শিকার হওয়ার পর যাঁদের অবস্থা ক্রমশ গুরুতর হচ্ছে এমন রোগীদের চিকিৎসায় এই মাশরুম কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
শুধু মাশরুম বলেই নয়, গবেষকরা চিনা হার্বসকেও এই তালিকায় যুক্ত করেছেন। তাঁদের দাবি এমন বেশ কয়েকটি চিনা হার্বস রয়েছে যা করোনা তাড়াতে অব্যর্থ হতে পারে।
কেন মাশরুম? এর অনেকগুলি ব্যাখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি, ওষুধ হিসাবে মাশরুমের ব্যবহার দীর্ঘদিনের। তাছাড়া হালে এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে ওষধি গুণযুক্ত মাশরুমে রয়েছে ভাইরাস বিরোধী শক্তি এবং মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সক্ষমতা।
২০১৯ সালে একটি গবেষণায় এটা প্রমাণ হয় যে মাশরুম ইনফ্লুয়েঞ্জা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ এবং হারপিসের মত ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
তাছাড়া গবেষকদের দাবি, মানুষ এবং মাশরুম প্রায় সমসাময়িক সময়ে পৃথিবীতে এসেছে। ফলে মানুষের ওপরও যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থাবা বসিয়ে এসেছে, মাশরুমের ওপরও বসিয়ে এসেছে। মাশরুম তাদের রুখে দেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করে ফেলেছে। ফলে সেই মাশরুম খেলে তা থেকে মানুষও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অর্জন করবে।
এমএসিএইচ বা মাচ ১৯ নাম দিয়ে এই মাশরুম ও চিনা হার্বস দিয়ে করোনা রুখে দেওয়া যায় কিনা তার গবেষণা চালাচ্ছেন মার্কিন গবেষকেরা। যে ট্রায়াল আপাতত তার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা