দক্ষিণ আফ্রিকারও আগে ৩ দেশে পাওয়া যায় ওমিক্রন সংক্রমিত, দাবি রিপোর্টে
ওমিক্রন নিয়ে গোটা বিশ্ব ত্রাসে রয়েছে। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেই আঙুল তুলছেন সকলে। কারণ সেখানেই মিলেছিল প্রথম সংক্রমণ। কিন্তু নয়া রিপোর্ট অন্য কথা বলছে।
করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন বিশ্বের ১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষত সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে ইউরোপের দেশগুলিতে। এটাই এতদিন বলা হচ্ছিল যে ওমিক্রন প্রথম পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখান থেকেই বিশ্বের অন্য দেশে পৌঁছয় অতিসংক্রামক ওমিক্রন।
ফলে গোটা বিশ্ব প্রায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে একঘরে করে ছেড়েছে। সেখান থেকে অনেক দেশই বিমান ওঠানামা করতে দিচ্ছেনা। যে তালিকায় ভারতও রয়েছে।
কোণঠাসা দক্ষিণ আফ্রিকাকে এবার কিছুটা হলেও রেহাই দিল একটি নয়া রিপোর্ট। যেখানে দাবি করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার আগেই ইউরোপের ৩টি দেশে ওমিক্রন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছিল।
বেলজিয়াম, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস, এই ৩ দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার আগেই ওমিক্রন পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। বেলজিয়ামে তো আবার প্রথম যাঁর দেহে ওমিক্রন পাওয়া যায় তিনি এসেছিলেন মিশর থেকে।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য দফতর ওমিক্রনের অস্তিত্বের কথা জানায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ১১ নভেম্বর মিশর থেকে ফেরা এক ব্যক্তির দেহে ২২ নভেম্বরই ওমিক্রনের উপসর্গ দেখা যায় বেলজিয়ামে।
জার্মানিতেও ২৪-এর আগেই মেলে। নেদারল্যান্ডসে মেলে ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে। এসব তথ্য যদি সব সঠিক হয় তাহলে কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকারও আগে এসব দেশে ওমিক্রন থাবা বসায়।
সেক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঠগড়ায় চাপানো নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। তবে এখন ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই সবচেয়ে বেশি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা