মানুষের শরীরে ওমিক্রন ও ডেল্টা সংক্রমণের ফারাক বোঝালেন বিশেষজ্ঞেরা
করোনার ২টি প্রকার হল ওমিক্রন ও ডেল্টা। তবে এদের মানবদেহে প্রভাব ভিন্ন। কতটা ভিন্ন, কেমন ভিন্ন সেটাই এবার প্রকাশ্যে আনলেন বিশেষজ্ঞেরা।
করোনা যখন বিদায় নিচ্ছে বলে মনে করতে শুরু করেছিল গোটা বিশ্ব, ঠিক সেই সময় ওমিক্রন থাবা বসাল। এখন বিশ্বজুড়েই ওমিক্রন এক নয়া আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা কেড়ে নিয়েছে বর্ষশেষের আনন্দটুকু।
বহু দেশেই বর্ষশেষের আনন্দে কাটছাঁট ও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। খোদ ভারতের দিল্লির সরকার জানিয়ে দিয়েছে এবার বর্ষশেষের আনন্দ উৎসব হবে না।
ওমিক্রন ইউরোপে যে থাবা বসিয়েছে তাতে সেখানকার মানুষ এখন আর বড়দিন বা বর্ষশেষের আনন্দ নিয়ে ভাবছেনই না। কিন্তু এতদিন ধরে বিশ্বকে জেরবার করে দেওয়া ডেল্টা প্রকার আর ওমিক্রন প্রকারের মধ্যে মানবদেহে প্রভাবের ফারাক কতটা সেটা এবার পরিস্কার করার চেষ্টা করলেন বিশেষজ্ঞেরা।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ডেল্টায় সংক্রমিত এক ব্যক্তির তুলনায় ওমিক্রনে সংক্রমিত এক ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ১৫ শতাংশ কম। আর হাসপাতালে ১ রাতের বেশি কাটানোর সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কম।
ফলে এটা পরিস্কার যে ওমিক্রন ডেল্টার তুলনায় কম ভয়ংকর। তবে ওমিক্রনে সংক্রমণের সম্ভাবনা এতটাই বেশি যে বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সেই সংখ্যার নিরিখে হাসপাতালে ভর্তি বাড়তে বাধ্য। কারণ ওমিক্রনে অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেল্টার সংক্রমণ ক্ষমতা তার চেয়ে কম।
ইংল্যান্ডের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এই গবেষণা চালিয়েছে। তবে ইংল্যান্ডে এখন বড় চিন্তার নাম ওমিক্রনই। ওমিক্রনে একাধিকবার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা