মানবদেহে শুয়োরের হৃদযন্ত্র, চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখা হল নয়া ইতিহাস
চিকিৎসাবিজ্ঞানে ফের এক নয়া ইতিহাস তৈরি করলেন চিকিৎসকেরা। এক ৫৭ বছর বয়স্ক মানুষের দেহে বসল শুয়োরের হৃদযন্ত্র। এছাড়া রাস্তা ছিলনা বললেন রোগী।
চিকিৎসাবিজ্ঞান দীর্ঘকাল ধরেই তার ম্যাজিকে বিশ্ববাসীকে অবাক করে এসেছে। রোগীকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকদের উদ্ভাবনী ভাবনা বারবার অবাক করেছে সাধারণ মানুষকে। ইতিহাস তৈরি হয়েছে চিকিৎসাশাস্ত্রে। ফের তেমনই একটি ইতিহাস রচনা হল।
এবার জিনগতভাবে সংশোধিত শুয়োরের হৃদযন্ত্র বসানো হল মানবদেহে। এক ৫৭ বছর বয়স্ক প্রৌঢ়ের দেহে এই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এই প্রতিস্থাপনের পর এখনও তিনি সুস্থ আছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখছেন। এভাবে শুয়োরের হৃদযন্ত্রকে মানুষের হৃদযন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার ঘটনা এই প্রথম ঘটল।
গত শুক্রবার এই অস্ত্রোপচার করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে। ওই রোগীর হৃদযন্ত্র দ্রুত পরিবর্তনের দরকার ছিল। কিন্তু মানবদেহের হৃদযন্ত্র পাওয়া যাচ্ছিল না।
তাই সময় নষ্ট না করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রোগীর সম্মতি নিয়েই। রোগী নিজেও জানিয়েছেন তিনি জানতেন যে এটা অন্ধকারে ঢিল মারা হচ্ছে। তাঁর মৃত্যুও হতে পারে। কিন্তু এছাড়া কোনও রাস্তা খোলা ছিলনা।
যদিও এই প্রতিস্থাপনের পর তিনি ভালই আছেন এখনও পর্যন্ত। তবে তাঁকে নজরে রাখছেন চিকিৎসকেরা। এই প্রতিস্থাপন যদি সবদিক থেকে ঠিকঠাক এগোয়, ওই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন তাহলে কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক নতুন রাস্তা উন্মোচিত হবে। যা বহু রোগীকে আরও বহুদিন জীবনটা উপভোগ করার আশা দেখাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা