এইভাবে ধূমপান করলে কিডনির অসুখ হতে পারে, বলছে গবেষণা
কখনও হয়তো ঠোঁটে লাগিয়ে দেখেনওনি জিনিসটা কেমন। তবু সিগারেটের ধোঁয়া থেকে কারও কিডনির অসুখ হতে পারে। নতুন একটি গবেষণা এমনই দাবি করেছে।
নিজে সিগারেট ছোঁননা। কখনও হয়তো ঠোঁটে লাগিয়ে দেখেনওনি জিনিসটা কেমন। তবু সিগারেটের ধোঁয়া থেকে কারও কিডনির অসুখ হতে পারে। নতুন একটি গবেষণা এমনই দাবি করেছে।
গবেষণা থেকে উঠে এসেছে, নিজে ধূমপান না করলেও পাশে কেউ ধূমপান করলে সেই ধোঁয়া নাকে ঢোকে। যাকে পরিভাষায় প্যাসিভ স্মোকিং বলা হয়।
এই প্যাসিভ স্মোকিং থেকেও কিন্তু যে কেউ দীর্ঘস্থায়ী কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। যা থেকে মূত্রাশয় সম্পর্কিত সমস্যা প্রকট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গবেষণা বলছে কোনও ব্যক্তি যদি সপ্তাহে ৩ দিনও প্যাসিভ স্মোকিংয়ের শিকার হন, তাহলে তাঁর কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বাড়ে।
অনেক সময়েই বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের কেউ সিগারেটে আসক্ত হন। তাঁদের সঙ্গে বসে কথা বলার সময় নিজে না খেলেও আশপাশের সকলের নাকে ওই ধূমপায়ীর ত্যাগ করা ধোঁয়া ঢোকে।
বাড়িতে বা বন্ধু-মহলে এমন ধূমপায়ী থাকা অস্বাভাবিকও নয়। সেক্ষেত্রে কিন্তু সপ্তাহে ৩ দিন অন্তত প্যাসিভ স্মোকিংয়ের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
গবেষণার সময় ১ লক্ষ ৩১ হাজার ১৯৬ জনকে বেছে নিয়ে তাঁদের মধ্যে ৩টি ভাগ করা হয়। এঁরা কেউই ধূমপায়ী নন। এঁদের একটি ভাগকে প্যাসিভ স্মোকিং থেকে দূরে রাখা হয়।
একটি অংশকে সপ্তাহে ৩ দিনের কম প্যাসিভ স্মোকিংয়ের দলে রাখা হয়। বাকিদের নিয়ে তৃতীয় দল গঠিত হয়। যাঁরা সপ্তাহে ৩ দিন বা তার বেশি প্যাসিভ স্মোকিংয়ের মধ্যে থাকেন। এঁদের শারীরিক পরীক্ষার পরই সার্বিক পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে এই সিদ্ধান্ত পৌঁছন গবেষকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা