Health

দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই চোখের জ্যোতি কমবেশি হারিয়েছেন

স্বাস্থ্যমন্ত্রক এক চমকে দেওয়ার মত তথ্য সামনে আনল। মন্ত্রক জানাচ্ছে, করোনাকালে ২ বছরে এই ঘটনা ঘটেছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগেরও বটে।

করোনা ভারতে থাবা বসানোর পর ২ বছর প্রায় কেটে গেছে। এই ২ বছরে দেশের ১০ জনে ৯ জন মানুষের চোখের জ্যোতি সামান্য হলেও কমেছে। এটা কারও ক্ষেত্রে বেশি হয়েছে। কারও কম। তবে হয়েছে। এমনই দাবি করল দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

এ এমন এক তথ্য যা রীতিমত উদ্বেগের। এই সময় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রেটিনা সমস্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু চোখে সমস্যা হলে মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। অনেকেই নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করান। কিন্তু গত ২ বছর সব কিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। ফলে নিয়মিত চোখ দেখানো দূরে থাক কিছু সমস্যা হলেও মানুষ চোখ দেখাতে যেতে ভয় পেয়েছেন।


করোনার ভয়ে অনেকেই বিরত থেকেছেন চিকিৎসাকেন্দ্র, হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে। একান্ত প্রয়োজন না হলে সেখানে না যাওয়ারই চেষ্টা করেছেন। উপরন্তু অনেকে বুঝতেও পারেননি যে তাঁর চোখে ভিতরে ভিতরে সমস্যা জন্ম নিয়েছে।

করোনাকালে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বয়স্ক মানুষরা চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে উঠতে পারেননি। অথবা পরিবারের লোকজন তাঁদের বয়সের কথা ভেবে চোখ দেখাতে নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে ভয় পেয়েছেন। কিন্তু তার ফলে অধিকাংশ বয়স্ক মানুষের চোখের ক্ষতি হয়েছে।


সময়মত চিকিৎসা না করানোয় আরও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। অনেক চোখের হাসপাতালেও মেনে নিচ্ছেন যে তাদের রোগী সংখ্যা কমেছে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে দাবি করছে যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষেরই চোখের সমস্যা বেড়েছে তা চিন্তার কারণ বৈকি। করোনাকালে বাড়িতে থাকায় স্ক্রিন টাইমও বেড়েছে। এটাও চোখের সমস্যা বাড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button