কেউ কেউ ৭ মাস ধরেও সংক্রমিত করতে পারেন অন্যকে, বলছে গবেষণা
প্রচলিত ধারনা হল দিন ১০-১৫ কেটে গেলে করোনা সংক্রমিত মানুষের অন্যকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা চলে যায়। কিন্তু একটি গবেষণা সে ধারনাই বদলে দিল।
বিশেষজ্ঞ থেকে অনেক চিকিৎসক এই নিশ্চিন্দি মানুষকে দিয়েছেন যে কেউ করোনা সংক্রমিত হলে তাঁকে বর্তমানে ৭ দিন পর্যন্ত আলাদা করে রাখলে তারপর তাঁর থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
মানুষের প্রচলিত ধারনা ১০-১৫ দিন পর আর কারও থেকে অন্যকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা থাকেনা। তারপর তিনি সুস্থ থাকলে স্বাভাবিকভাবে সকলের সঙ্গে মিশতে পারেন।
কিন্তু সে ধারনাও যে সঠিক নয় তা প্রমাণ করে দিল একটি গবেষণা। গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। যা আতঙ্কেরও বটে।
গবেষকেরা ৩৮ জন ব্রাজিলীয় নারী পুরুষকে পর্যবেক্ষণে রেখে এই গবেষণা চালান। তাতে দেখা গেছে এঁদের মধ্যে ১ মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির হাল্কা করোনা উপসর্গ ছিল ২০ দিন পর্যন্ত। তখন তিনি পজিটিভ ছিলেন।
তারপর তাঁকে যখনই পরীক্ষা করা হয়েছে তাঁকে পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তখন তাঁকে দেখে বোঝার উপায় ছিলনা। তিনি একদম সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন।
এমন করে আরটি-পিসিআর রিপোর্টে দেখা যায় ২৩২ দিন পর্যন্ত তাঁর দেহে করোনার জীবাণু সক্রিয় রইল। মিউটেটও করল।
এই ৭ মাসে তাঁর সংস্পর্শে যিনিই আসতেন তিনিই সংক্রমিত হতেন বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। যেহেতু তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল, তাই তাঁকে পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছিল। ফলে তাঁকে আলাদা রাখা হয়েছিল।
এমনভাবেই ওই ৩৮ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ১ মহিলার দেহে ৭০ দিন পর্যন্ত করোনাকে সক্রিয় অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এঁরা গবেষণার অঙ্গ না হলে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে মিশতেন। আর তাতে তাঁরা তাঁদের অজান্তেই করোনা ছড়াতেন। গবেষণাটি হয়েছে ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা