কোন কোন রঙের পোশাক পরলে মশা কামড়াবে না, জানালেন বিশেষজ্ঞেরা
শীতের দিনে মশার দাপট কিছুটা কম থাকলেও এবার ফের মশার দাপট বাড়তে চলেছে। তার আগেই জানা গেল কোন কোন রঙের পোশাক পরলে মশা কাছে ঘেঁষে না।
সামনেই বসন্ত। তারপর গ্রীষ্ম, বর্ষা। মশাদের হৈহৈ করে ছড়িয়ে পড়ার সময় আগতপ্রায়। শীতের দিনে মশার দাপট কিছুটা হলেও কম থাকে। কিন্তু বছরের বাকি সময়ে মশা কানের ধারে গান গায়, কামড়ায় এবং তা থেকে নানা রোগও হয়।
ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া তো অনেক মানুষকে মৃত্যুর দরজায় পৌঁছে দেয়। সেক্ষেত্রে মশা থেকে বাঁচতে লিকুইডেটর, মশার ধূপ, মশা তাড়ানোর ক্রিম সবই ব্যবহার করেন মানুষ।
কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা অনেক সময় হয়না। এবার মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার আরও একটি পন্থার কথা সামনে আনলেন গবেষকেরা।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, মশারা মানুষের নিঃশ্বাস থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড বুঝতে পারে। তাতে তাদের চোখ খুলে যায়।
মানুষের গায়ের রং যাই হোক না কেন মানুষের চামড়ায় একটা লাল রং থাকে। যা মশারা খুব ভাল দেখতে পায়। দেখতে পায় লালের কাছাকাছি কমলা রংও।
এছাড়া কালো রং তাদের আকর্ষিত করে। আকর্ষিত করে নীলচে সবুজ রং। তাই এই রংগুলির দিকে দ্রুত ধেয়ে আসে তারা। তারা মনে করে সেখানে তারা তাদের খাবার পেতে পারে। ফলে এসব রংয়ের পোশাক পরে থাকলেও সেদিকে আকর্ষিত হয় মশারা।
গবেষকেরা আরও জানিয়েছেন, এসব রংয়ের দিকে মশারা যেমন আকর্ষিত হয় তেমনই নিঃশ্বাস নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের দ্বারা তাদের চোখ খুলে যাওয়ার পরও সবুজ, নীল, বেগুনি এবং সাদা রংগুলি নজরে এলেও মশারা সেদিকে যাওয়া পছন্দ করেনা।
তাই এসব রংয়ের পোশাক গায়ে থাকলে মশারা কাছে ঘেঁষবে না। ফলে মশার কামড় থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা