গরুর দুধ কি আদৌ করোনা রুখতে সক্ষম, সামনে এল সত্যিটা
গরুর দুধ যে পুষ্টিকর তা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারেনা। তবে তা কি করোনাকেও দমিয়ে দিতে সক্ষম? এ প্রশ্নের উত্তরে সামনে এল সত্যিটা।
গরুর দুধ আদিঅনন্ত কাল ধরেই পুষ্টিকর এক পানীয়। শিশুদের তো বটেই, এমনকি সব বয়সের মানুষই গরুর দুধ থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারেন।
এসব তো আগেই জানা ছিল। কিন্তু এই করোনাকালে গরুর দুধে কি লুকিয়ে আছে করোনাকে দমিয়ে দেওয়ার শক্তি? করোনার বিরুদ্ধেও কি গরুর দুধ কার্যকরি ভূমিকা নিতে পারে?
এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, যে কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণির দুধে থাকে ল্যাকটোফেরিন। আর গরুর দুধে থাকে বোভাইন ল্যাকটোফেরিন।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন গরুর দুধে থাকা বোভাইন ল্যাকটোফেরিন যে কোনও ধরনের ভাইরাস, মাইক্রোবস বা অন্যান্য প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। কারণ গরুর দুধে এই বায়োঅ্যাকটিভ পদার্থ রয়েছে।
করোনার ক্ষেত্রেও গরুর দুধে থাকা পদার্থ কোভিডের টার্গেট করা কোষে ঢোকা আটকে দেয়। সেইসঙ্গে কোষের যে ভাইরাস বিরোধী ক্ষমতা রয়েছে তা বাড়িয়ে দেয় গরুর দুধ। রোটা ভাইরাস বা নোরো ভাইরাস রুখতেও গরুর দুধের জুড়ি নেই বলেই জানাচ্ছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, করোনা রুখতে যেমন গরুর দুধ উপকারি, তেমনই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে ওঠা রোগীর পুরনো সুস্থতায় ফিরে আসতেও গরুর দুধ প্রয়োজনীয়।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, যেখানে করোনা সারানোর জন্য ওষুধপত্রের অভাব রয়েছে বা ওষুধের দাম অনেক বেশি, সেখানে গরুর দুধ রোগীর জন্য দারুণ উপকারি হিসাবে সামনে আসতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা