৩ দিনে বধ পরের অতিমারি সম্ভাবনার ভাইরাস, আলো দেখাচ্ছেন গবেষকেরা
হু ইতিমধ্যেই আগামী অতিমারির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। সেই সম্ভাবনা যে ভাইরাসের হাত ধরে হতে পারে তাকে এখন থেকেই বধের বন্দোবস্তে আশার আলো দেখালেন গবেষকেরা।
এখনও বিশ্ব থেকে বিদায় নেয়নি করোনা অতিমারি। এরমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়ে দিয়েছে আগামী অতিমারির সম্ভাবনার কথা। আর তা কোন ভাইরাসের হাত ধরে আসতে পারে তাও জানিয়েছে। যা করোনার থেকেও মারণ শক্তিতে বলবান।
জুনোটিক ভাইরাস এটি অর্থাৎ যা কোনও প্রাণি থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হতে পারে। ১৯৯৯ সালে ইন্দোনেশিয়ায় এই ভাইরাসটির দেখা মেলে।
নিপা ভাইরাসটির মারণ ক্ষমতা কিন্তু করোনার চেয়েও বেশি। যদিও সংক্রমণ ক্ষমতা করোনার মত অতটা নয়। সেই নিপা নিয়েই চিন্তায় হু। পরবর্তী অতিমারি হানা দিলে তা নিপার হাত ধরে হতে পারে বলে মনে করছে তারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা নিপা সংক্রমণ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই একটি টিকা বানিয়েছেন। ওই টিকা নিয়ে রিসার্চ চালিয়েছেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গবেষক দলের দাবি, নিপা থেকে রক্ষায় ৩ দিনের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে তাদের তৈরি টিকা।
৩ বার ভারতের বুকে হামলা চালিয়েছে নিপা ভাইরাস। গত ৪ বছর সময়সীমায় নিপা-র হানা হ্যাটট্রিক করেছে। ভারতে এই মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে মোট ২০ জনের। এঁদের মধ্যে কেরালার বাসিন্দা ১২ বছরের এক কিশোরও রয়েছে।
শ্বাসপ্রশ্বাসের ড্রপলেট থেকেও নিপা সংক্রমিত হতে পারে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আফ্রিকান গ্রিন মাঙ্কির ওপর টিকা প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন।
নিপা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার মত কোনও টিকা বর্তমানে চিকিৎসকদের হাতে নেই। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নিপা ভাইরাস প্রতিরোধক যে টিকাটি তৈরি করেছেন তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে।
এখন টিকাটিকে হু মান্যতা দেয় কিনা সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে মান্যতা পেলে বিশ্বে নিপা আতঙ্ক অনেকটাই কমবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা