Health

ছোটদের ম্যালেরিয়া হলে অভিভাবকদের চিন্তা কমাতে নতুন আলোর রেখা

ম্যালেরিয়া বর্তমান পৃথিবীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। শিশু থেকে কিশোর দেহেও হানা দেয় এই মশা বাহিত ব্যাধি। অভিভাবকরাও চিন্তায় পড়েন। যদিও এবার তাঁদের জন্য এল সুখবর।

১০০ বছর আগের পৃথিবীতে ম্যালেরিয়া ছিল এক আতঙ্কের নাম। শতবর্ষ পেরিয়েও সেই সমস্যা বহাল আছে। শিশু থেকে কিশোররা বিশেষ এক ধরনের ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে সহজে সুস্থ হওয়ার উপযোগী ড্রাগ থেরাপির উদ্ভাবন হল এবার। এই ওষুধটি অস্ট্রেলিয়ান রেগুলেটর্সের অনুমোদন পেল।

ওষুধটির নাম টাফেনোকুইন। ব্রিটেনের প্রসিদ্ধ সংস্থা জিএসকে এই ওষুধটি তৈরি করেছে। সহযোগী সংস্থা হিসাবে ছিল মেডিসিনস ফর ম্যালেরিয়া ভেঞ্চার।


প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়া জুড়ে ম্যালেরিয়া ছড়ানোর অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকাতেও ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব রয়েছে।

পি ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়ায় শিশু, কিশোর কিশোরীরা আক্রান্ত হলে অনেকসময়ই তা প্রাণঘাতী হয়। অনেকে আবার একাধিকবার আক্রান্ত হয়ে রক্তাল্পতার শিকার হয় এবং মারাও যায় অনেক সময়ে।


টাফেনোকুইনকে অনুমোদনের জন্যে ৯টি দেশে আবেদন জানানো হয়েছে। প্ৰথম ছাড়পত্র দিল অস্ট্রেলিয়া। বাকি ৮টি দেশ ম্যালেরিয়া রুখতে বিজ্ঞানীরা যে ড্রাগ থেরাপির উদ্ভাবন করেছেন তাকে স্বীকৃতি দেয় কিনা দেখার।

২০১৯ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পৃথিবীর ২২৯ মিলিয়ন মানুষ। এঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৫৮ হাজারের। আর ২০২০ সালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ২৭ হাজারে।

২০২০ সালে ছন্দ হারানো বিশ্বে দাপট দেখিয়েছে ম্যালেরিয়াও। যদিও সংবাদমাধ্যমে এই উদ্বেগজনক তথ্য সেভাবে প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button