হাড় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রুখে দেবে মামুলি এই শাক
মহাকাশচারীদের দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশযানে থাকতে হলে তাঁদের হাড়ের ঘনত্ব নষ্ট হয়। এ থেকে বাঁচতে এক মামুলি শাককেই দাওয়াই বানালেন বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশে থাকাকালীন সেখানেই শাকসবজি যাতে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা যায় তার চেষ্টা চলছে। কিয়দংশে সাফল্যও এসেছে।
এদিকে মহাকাশচারীরা যদি দীর্ঘ সময় মহাকাশযানে থাকেন, তাহলে তাঁদের নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষত হাড়ের ঘনত্ব নষ্ট হয়ে যায়।
এখন আবার মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর ভাবনা চিন্তা চলছে। সেক্ষেত্রে সুদীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশযানেই কাটাতে হবে মহাকাশচারীদের। সে সময় তাঁদের হাড়কে রক্ষা করতে পারে নিছক একটি শাক। এমনই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
হাড়ের ঘনত্বের ভারসাম্য বজায় রাখে প্যারাথাইরয়েড হরমোন বা পিটিএইচ। এটি পাওয়া যায় লেটুস শাক বা লেটুস পাতায়। বিজ্ঞানীরা এই লেটুস শাককেই এমনভাবে তৈরি করছেন যাতে পিটিএইচ ভারসাম্য তা দিয়ে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এই বিশেষ ধরনের জিনগত ভাবে পরিবর্তিত লেটুস পাতা দিয়ে তাঁরা একটি ওষুধও বানিয়েছেন। একটি ট্যাবলেট, যা মহাকাশচারীদের কাজে লাগবে। এছাড়া তাঁরা চাইলে সরাসরি লেটুস পাতাই খেতে পারেন।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মঙ্গল অভিযানে কয়েক বছর লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে প্যাক করা খাবার পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যদি মহাকাশেই শাকসবজির ফলন সম্ভব হয়, এবং তা মহাকাশচারীদের খাবারের কাজে ব্যবহৃত হয়, তাহলে মহাকাশচারীরাও মানসিক দিক থেকে উজ্জীবিত হবেন।
মহাকাশে দীর্ঘদিনের জন্য পাড়ি দেওয়ার সময় মহাকাশচারীদের ওষুধেরও দরকার পড়বে। এই ওষুধ তাঁরা পৃথিবী থেকে পাড়ি দেওয়ার সময় সঙ্গে নিলেও একটা সময় তার কার্যকারিতার মেয়াদ শেষ হবে। তখন কি হবে?
বিজ্ঞানীরা তাই চাইছেন এমন লম্বা সফরে মহাকাশচারীদের প্রয়োজনীয় ওষধি গুণ রয়েছে এমন শাকসবজির বীজ যাতে সঙ্গে দেওয়া যায়। আর তা থেকে তাঁরা ফলন করে নিতে পারেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ এভাবেও পাঠানো যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা