মানুষের শরীরে শুয়োরের হৃদযন্ত্র, প্রথম উদাহরণ সফল হয়েও হল না সফল
মানবদেহের হৃদযন্ত্র বদলে সেখানে বসানো হয়েছিল শুয়োরের হৃদযন্ত্র। তারপর ভালই ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সাফল্য বিফল হল অন্য কারণে।
২ মাস আগেই পৃথিবীতে প্রথম মানবদেহে শুয়োরের হৃদযন্ত্র বসানোর অপারেশন সাফল্য পায়। রোগীও সুস্থ ছিলেন। ক্রমশ আরও ভাল হয়ে উঠছিলেন। শুয়োরের হৃদযন্ত্র বসানোর পর তা ভালই কাজ করছিল। ফলে চিকিৎসকেরা ওই ৫৭ বছরের প্রৌঢ়কে পর্যবেক্ষণে রাখার পর নিশ্চিন্ত হয়ে ছেড়েছিলেন।
কিন্তু এখন ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গেছে। শুয়োরের হৃদযন্ত্রে মাত্র ২ মাসই জীবন কাটালেন তিনি। পোর্সিন ভাইরাস নামে একটি ভাইরাস তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে যে শুয়োরের হৃদযন্ত্র বসানোর পরই এই ভাইরাস শরীরে থাবা বসায়। যা তারপর ছড়িয়ে পড়ে কেড়ে নেয় মার্কিন নাগরিক ডেভিড বেনেটের প্রাণ।
এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞেরা। যখন ডেভিড বেনেটের দেহে শুয়োরের হৃদযন্ত্র বসানো হয় তখনই লুকিয়ে তাঁর দেহে প্রবেশ করেছিল পোর্সিন ভাইরাস। যা শুয়োরের দেহে থাকে।
ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই পোর্সিন ভাইরাস সহজে ধরা পড়েনা। ফলে শুয়োরের হৃদযন্ত্র বসানোর আগে পরীক্ষায় ওই ভাইরাস ধরা নাও পড়ে থাকতে পারে। তবে শুয়োরটিকে ভাল করে পরীক্ষা করলে অবশ্যই এই ভাইরাস ধরা পড়ত।
তাই এই ভাইরাসের খবর জানতে পরীক্ষা আরও ভাল করে করতে হবে। এক্ষেত্রে যে শুয়োরটির থেকে হৃদযন্ত্র নেওয়া হয়েছিল, সে তার আগেই পোর্সিন ভাইরাসে সংক্রমিত ছিল।
ডেভিডের দেহে শুয়োরের হৃদযন্ত্র বসানোর পর তিনি ভালই ছিলেন। সকলের সঙ্গে কথা বলছিলেন। দেহে বল ফিরে পেতে তাঁর থেরাপিও চলছিল। সব ঠিক ছিল। কিন্তু পোর্সিন ভাইরাস লুকিয়ে ছড়িয়ে পড়ে দেহে। যা ২ মাস পর তাঁর মৃত্যুর কারণ হল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা