ডায়াবেটিসের নতুন ওষুধে উপরি পাওনা, সেরে যাচ্ছে অন্য সমস্যাও
এটি একটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস সারানোর ওষুধ। সেজন্যই এটি নিয়ামক সংস্থা থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে অন্য ক্ষমতাও লুকিয়ে আছে তার মধ্যে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস বিশ্বজুড়েই এক বড় সমস্যা। যার নিরাময়ে একটি নতুন ওষুধ বাজারে আনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ইলি লিলি। মার্কিন এফডিএ এই ওষুধকে বাজারে আনার ছাড়পত্র দিয়েছিল। তবে তা ছিল একমাত্র টাইপ ২ ডায়াবেটিস সারানোর ওষুধ।
টিরজেপাটাইড গ্রুপের এই ওষুধটি বাজারে আসার পর এবার গবেষকেরা দেখছেন এর মধ্যে অন্য এক ক্ষমতাও লুকিয়ে আছে। যা বেরিয়াট্রিক সার্জারি-র বিকল্প হতে পারে! প্রসঙ্গত বেরিয়াট্রিক সার্জারি ওজন কমাতে কাজে লাগানো হয়।
বহু মানুষ স্থূলতা বা মোটা হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের রোগা করতে বা মেদ ঝরাতে নানা পথে চিকিৎসা এগিয়ে নিয়ে যান চিকিৎসকেরা। যার মধ্যে একটি অস্ত্রোপচারও।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে নতুন এই টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ওষুধটি স্থূলতার সমস্যা থেকেও মুক্তি দিচ্ছে। মোটা হওয়ার সমস্যা থেকে মানুষকে বার করে আনছে।
যদিও বিষয়টি এখনও গবেষণা ও পরীক্ষামূলক স্তরেই রয়েছে। তবে এটি একটি বড় খোঁজ হিসাবেই দেখছেন চিকিৎসকেরা। এই ওষুধ যদি পরবর্তীকালে স্থূলতা কমানোর কাজে ব্যবহার হয় তাহলে তা একটা বাড়তি পাওনা হবে এই ওষুধ থেকে।
গবেষকেরা ২ হাজার ৫৩৯ জন অতি স্থূল মানুষকে বেছে নেন। এঁদের ৪টি ভাগে ভাগ করে দেন। ১টি ভাগকে দেওয়া হয় প্ল্যাসিবো ইঞ্জেকশন। বাকি ৩টি ভাগকে টিরজেপাটাইড ওষুধ ৫ গ্রাম, ১০ গ্রাম ও ১৫ গ্রাম করে দেওয়া হয়। ৭২ সপ্তাহ ধরে চলে এই প্রয়োগপর্ব। তারসঙ্গে দেওয়া হয় ব্যায়াম।
৭২ সপ্তাহ পরে দেখা যায় যাঁদের প্ল্যাসিবো ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ওজন কমেছে গড়ে ২.৪ কেজি। অন্যদিকে যাঁদের টিরজেপাটাইড ৫ গ্রাম করে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ওজন কমেছে ১৬ কেজি করে।
যাঁদের টিরজেপাটাইড ১০ গ্রাম করে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ওজন কমেছে ২২ কেজি করে। আর যাঁদের টিরজেপাটাইড ১৫ গ্রাম করে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ওজন কমেছে সাড়ে ২৩ কেজি করে। এই ওষুধ আগামী দিনে স্থূলতা কমাতে বাজারে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা