১০ টাকার ফুচকা খেতে গিয়ে খসতে পারে ১০ হাজার টাকা, সতর্ক করলেন স্বাস্থ্য আধিকারিক
ফুচকা কার না ভাল লাগে। যদিও এক স্বাস্থ্য আধিকারিক এই ফুচকা থেকে আপাতত দূরে থাকতেই পরামর্শ দিচ্ছেন। মোটা টাকা খসে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
ফুচকা প্রায় সকলেরই প্রিয়। খুব কম মানুষই খুঁজে পাওয়া যাবে যিনি ফুচকা খেতে পছন্দ করেননা। তবে এখন এই ফুচকা খাওয়া থেকে সকলকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
তাঁর সতর্কবাণী যে ১০-১৫ টাকার ফুচকা খেতে গিয়ে ৫-১০ হাজার টাকা খসে যেতে পারে। তাই সেদিকটা মাথার রেখে ফুচকা থেকে আপাতত দূরত্ব বজায় রাখাই ভাল।
তেলেঙ্গানার জনস্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর জি শ্রীনিবাস রাও জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানায় ক্রমশ বাড়ছে টাইফয়েড। এজন্য পানিপুরী অর্থাৎ ফুচকা দায়ী। তাঁর মতে টাইফয়েড না বলে একে পানিপুরী অসুখ বলাই ভাল।
বহু মানুষ ফুচকা খেতে পছন্দ করেন। তাঁরা প্রায়ই রাস্তার ধারে থাকা দোকান থেকে টপাটপ ফুচকা খানও। কিন্তু এই ফুচকাই ডেকে আনছে টাইফয়েড।
শুধু টাইফয়েড বলেই নয়, জি শ্রীনিবাস রাওয়ের মতে, টাইফয়েডের সঙ্গে সঙ্গে অন্য অনেক রোগও এই ফুচকার হাত ধরে মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে।
বর্ষায় ফুচকা খাওয়া থেকে তাই সকলকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, ফুচকা খেতে গিয়ে বড় রোগে আক্রান্ত হলে মোটা টাকা বেরিয়ে যাবে চিকিৎসায়।
শ্রীনিবাস রাও ফুচকা বিক্রেতাদেরও পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, ফুচকা বিক্রির সময় সব বিক্রেতার উচিত ক্রেতাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা। এজন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত বর্ষায় জল বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হন মানুষজন। আর এখন তেলেঙ্গানায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা