হার্ট অ্যাটাকে বাঁচিয়ে দিতে পারেন সাধারণ মানুষই
হার্ট অ্যাটাক বলে আসেনা। আচমকা হয়। তখন যে আশপাশে হাসপাতাল বা ডাক্তার পাওয়া যাবে এমনও নয়। সেক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচিয়ে দিতে পারেন আশপাশের মানুষই।
হার্ট অ্যাটাক বহুদিন ধরেই এক বড় সমস্যা। ভারতে বছরে ২০ লক্ষ মানুষ হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। কিন্তু এঁদের মধ্যে অনেককে বাঁচিয়ে দেওয়া যেত বলেই মনে করছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ আদিত্য কাপুর।
হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদযন্ত্র আচমকাই মস্তিষ্কে রক্ত পাঠানো বন্ধ করে দেয়। রক্ত মস্তিষ্কে না পৌঁছলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় রোগীর। সবসময় চিকিৎসক বা হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছনোর সময়ও পাওয়া যায়না।
কিন্তু একটি উপায় আশপাশের মানুষের জানা থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনকেই বাঁচিয়ে দেওয়া যেত বলে মনে করছেন আদিত্য কাপুর।
চিকিৎসক কাপুরের মতে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামকে শিলংয়ে মৃত্যুর হাত থেকে হয়তো বাঁচানো যেত যদি সেদিন চারপাশে থাকা মানুষের কেউ সিপিআর দিতে জানতেন। একইভাবে হয়তো বেঁচে যেতেন অভিনেত্রী রীমা লাগুও।
সিপিআর হল হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর বুকে বিশেষভাবে চাপ তৈরি করা। ২টি হাতের তালুর সাহায্যে এই সিপিআর দেওয়া হয়। সিপিআর দেওয়া হলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন হতে থাকে। ফলে চিকিৎসক আসা বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।
এটি একটি শেখার বিষয়। তবে খুব শক্ত কিছু নয়। যে কেউ সিপিআর কীভাবে দিতে হয় তা শিখে নিতে পারেন। যা কিন্তু কোনও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচাতে কাজেও লাগতে পারে।
সকলকেই তাই সিপিআর দেওয়া শিখে রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন আদিত্য কাপুর। সিপিআর হাত দিয়েও হয় আবার মুখ দিয়েও দেওয়া যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা