কাউকে মশা বেশি কামড়ায়, কাউকে কম, কেন হয় এমন
দেখা যায় এক জায়গায় থাকা কয়েকজনের মধ্যে দুএক জনকে মশা বেশি কামড়াচ্ছে। অথচ পাশেই থাকা অন্যজন কম কামড় খাচ্ছেন। কেন এবার পরিস্কার করলেন বিজ্ঞানীরা।
এখন চারদিকে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। যেমন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ, তেমনই তাল মিলিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। এই ২ রোগই মশাবাহিত।
মশার কামড় থেকেই এই রোগ ছড়ায়। ফলে মশার কামড় থেকে দূরে থাকাটা জরুরি। জরুরি মশার বংশবৃদ্ধি আটকানো। এজন্য বিভিন্ন পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে স্থানীয় মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
দেখা গেছে কিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। কিছু মানুষকে কম কামড়ায়। এটা মানুষের মুখেমুখেও ঘোরে। কিন্তু ঠিক কেন তা হয় তা এবার পরিস্কার করে দিলেন কয়েকজন গবেষক।
মনে করা হত গায়ের রং, গায়ে পরে থাকা পোশাকের রং, রক্তের গ্রুপ, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ধরন বা গায়ের চামড়ায় বসবাস করা ব্যাকটেরিয়া, এমন নানা কারণে মশারা কিছু মানুষের দিকে বেশি ধাবিত হয়। কিন্তু ঠিক কী কারণে মশারা কিছু মানুষকে বেশি কামড়ায় তা এবার স্পষ্ট করলেন নিউ ইয়র্কের রকেফেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন কিছু মানুষের শরীর মশাদের চুম্বকের মত আকর্ষিত করে। আর তার পিছনে মূল কারণ হল চামড়ায় কার্বোস্কিলিক অ্যাসিডের প্রাধান্য। এই বিশেষ ধরনের অ্যাসিড যাঁদের চামড়ায় বেশি থাকে তাঁদের শরীরে কার্যত পিকনিক করে মশারা।
ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া, হলুদ জ্বর বা জিকার মত ভয়ংকর ব্যাধি ছড়ায় স্ত্রী এডিস ইজিপ্টি মশারা। কিছু মানুষের শরীরের গন্ধ পাতলা কাপড়ে নিয়ে তা ফেলে পরীক্ষা করেন গবেষকেরা। দেখা যায় যাঁদের দেহে কার্বোস্কিলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি ঠিক তাঁদের কাপড়েই ভিড় জমাচ্ছে মশারা।