না চাইলেও মোটা হয়ে যেতে পারেন, কারণ ছড়িয়ে আছে আশপাশে
মোটা হয়ে যেতে কেউই চান না। কিন্তু তাঁর চাওয়া বা না চাওয়ার ওপর কিছুই নির্ভর করেনা। মোটা হওয়া নির্ভর করছে তাঁর আশপাশের ওপর।
অতিরিক্ত খাওয়া বা অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া বা জাঙ্ক ফুডের প্রতি টান, এসব মোটা হওয়ার চেনা কারণ। যা প্রায় সকলের জানা। অনেকের শরীরে মোটা হওয়ার একটা প্রবণতাও দেখা যায়। কিন্তু এসব থেকে দূরে থেকেও কেউ মোটা হয়ে যেতে পারেন। তাঁদের শরীর ভারী হতে থাকতে পারে।
কোমর থেকে শুরু করে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমা হতে পারে। নিয়ম মেনে চলেও এমনটা হতে পারে। আর তা হতে পারে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মধ্যবয়সীদের। কিন্তু কেন?
সব নিয়ম মেনে চলেও কেন একজন মহিলা মোটা হওয়ার সমস্যায় পড়বেন? কারণ জানালেন গবেষকেরা। তাঁদের দাবি, মোটা না হওয়ার সব নিয়ম মানার পরও মধ্যবয়সী মহিলাদের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবণতা দেখা যেতে পারে আশপাশের কারণে। যাতে তাঁর কোনও হাত নেই। কিছু করারও নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে বায়ুদূষণ। বাতাসে দূষিত ধূলিকণার পরিমাণ বৃদ্ধি যে শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে তা সকলের জানা।
যেটা ভালভাবে জানা তা হল এই বায়ুদূষণ শ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করে। ফুসফুসের ক্ষতি করে। কিন্তু মধ্যবয়সী মহিলাদের অনেক ক্ষেত্রে এই বায়ুদূষণ মোটাও করে দিতে পারে। এমনই দাবি করেছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সূক্ষ্ম ধূলিকণা, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড দূষিত বাতাসের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করে। যা ৪০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের দেহে দ্রুত মেদ বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে। মহিলাদের শরীরে ৪.৫ শতাংশ মেদ বৃদ্ধি হতে পারে কেবল বায়ুদূষণ থেকে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা