ওজন কমাতে চাইলে সারাদিনে মাত্র ২টি বিষয় মেনে চলতে হবে
ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা বা মোটা হয়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে অনেক মানুষই জেরবার। কিন্তু সারাদিনে ২টি অভ্যাস এই মোটা হওয়ার প্রবণতা রুখে দিতে পারে।
ওজনের সমস্যা একটা বড় সমস্যা। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, মানসিক চাপ, কাজের চাপ, সঠিক সময়ে ঘুমোতে না পারা, কম ঘুম, নানা কারণে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে মানুষ জেরবার।
ওজন কমাতে জিমে যাওয়া, হাঁটা, খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া এবং এমন নানা পথ নেন অনেকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সারাদিনে ২টি বিষয় মনে রাখলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মোটা হয়ে যাওয়া থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন সকালে প্রাতরাশ সারতে হবে ঘুম থেকে ওঠার ১ ঘণ্টার মধ্যে। তাও আবার ভারী ব্রেকফাস্ট। ব্রেকফাস্টে দেরি করলে চলবে না। সকাল সকাল সেরে নিতে হবে ব্রেকফাস্ট।
ব্রেকফাস্টে অনেকটা খাওয়া যেতে পারে। অবশ্যই ব্রেকফাস্টে থাকতে হবে ফাইবার যুক্ত খাবার এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার। সুষম আহার ব্রেকফাস্টের জন্য জরুরি।
অনেকে ওজন কমাতে ব্রেকফাস্ট খুব হাল্কা করেন বা করেননা। এটা একেবারেই ভুল বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। এতে পরে খিদে পাবে। তখন এটা ওটা খাওয়ার ইচ্ছে হবে। যা ওজন বাড়িয়ে দেবে।
ব্রেকফাস্টের পর লাঞ্চটা কিন্তু ব্রেকফাস্টের মত অতটা ভারী না করাই ভাল। তবে লাঞ্চ করতেই হবে। সেটা সবচেয়ে ভাল দুপুর ১২টা থেকে ২টোর মধ্যে সেরে ফেলা।
লাঞ্চ না করলে কিন্তু পরে ঘুম পাবে। বিকেল হওয়ার আগেই খিদে পাবে। কাজের এনার্জিতেও ঘাটতি হতে পারে। যাই হয়ে যাক লাঞ্চ বাদ দিলে চলবে না।
লাঞ্চ না করলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। পাতে থাকতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার, প্রচুর আনাজ এবং শস্য জাতীয় খাবার।
ডিনার হাল্কা করাই ভাল। রাতের খাবার রাতে না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। যত রাত করে খাবার খাওয়া হবে ততই ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
রাতে মানুষ যখন ঘুমোন তখন শরীরে সবচেয়ে কম ক্যালোরি পোড়ে। তাই খাবার কম থাকাই ভাল। ঘুমোতে যাওয়ার ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে ডিনার শেষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
স্যুপ, গ্রিল করা চিকেন বা মাছ, বড় এক বাটি স্যালাড, পালকপনির বা কাবলি ছোলার তরকারি, মাল্টিগ্রেন রুটি ডিনারের আদর্শ খাবার।
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার নিয়ম মেনে এবং সময় মেনে খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে এই ৩টি খাবারের মাঝে ইচ্ছে হলে স্বাস্থ্যকর পানীয় খাওয়া যেতেই পারে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা