হাইতোলার সময় সকলেই একটি ক্ষমতা হারান, কেন এমন হয়
মানুষ মাত্রেই হাই তোলেন। দিনে কতবার যে হাই উঠছে তার গুনতি কেউ রাখেন না। বিশেষ গুরুত্বও দেন না। কিন্তু হাইতোলা একটি ক্ষমতা কেড়ে নেয়।
হাইতোলা একটি স্বাভাবিক বিষয়। সব মানুষই হাই তোলেন। দিনে অনেকবার হয়তো তোলেন। কিন্তু তা ভেবেও দেখেন না কেউ। হাইতোলা কোনও অসুখ নয় যে কেন হাই উঠল তা নিয়ে চিন্তায় পড়বেন।
তবে অনেকে হাই উঠলে এটা মনে করেন যে তাঁর হয়তো ঘুম পাচ্ছে। এটাই প্রচলিত ধারনা। হাইতোলা জীবনের অঙ্গ। কিন্তু এই হাই যতক্ষণ ওঠে ততক্ষণ মানুষ তাঁর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। হয়তো অনেকেই বিষয়টি এতটা গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখেননি। আবার অনেকে এটা টের পেয়েছেন।
হাইতোলার সময় মুখের অনেক পেশি সক্রিয় হয়। পেশির স্থান কিছুটা পরিবর্তন হয়। হাই উঠে গেলে পেশিগুলি ফের নিজের জায়গায় ফিরে আসে।
কারণ হাইতোলার সময় মুখ হাঁ করতে হয়। তাতে পেশি গিয়ে নানা অংশে স্পর্শ করে। তার মধ্যে কানের ভিতরের একটি অংশও রয়েছে। আর তার ফলেই হাইতোলার সময় মানুষ শোনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
কোনও মানুষই হাইতোলার সময় শুনতে পান না। হাই যদিও দীর্ঘক্ষণের কাজ নয়। দ্রুত হাই ওঠে। হাই উঠে গেলে ফের কানের শ্রবণ ক্ষমতা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এটা কোনও রোগ নয়। এটা সব মানুষের স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় কাজ। হাইতোলার সময় যে মানুষ শুনতে পাবেনা তা তার জন্মগত। এভাবেই শরীর তৈরি হয়েছে। ফলে এটা বদলানোরও উপায় নেই। ওইটুকু সময় না শুনেই কাটাতে হবে সারাজীবন।