কারও ঘামের গন্ধ সারিয়ে দিতে পারে অন্যজনের অসুখ, বলছে গবেষণা
অন্য কারও ঘামের গন্ধ, বিশেষত তা যদি তাঁর বগলের ঘামের গন্ধ হয় তাহলে তা আর এক জনের একটি অসুখ সারিয়ে দিতে পারে। এমনই বলছেন গবেষকেরা।
নিজের ঘামের গন্ধেই অনেকে বিরক্ত হন, তো অন্য কারও ঘামের গন্ধ তো বিরক্তির কারণ হবেই। গরমকালে রাস্তা থেকে যানবাহনে এটা একটা বড় সমস্যা। কাছাকাছি থাকা মানুষের ঘামের গন্ধ কার্যত দুর্গন্ধের মত অন্যজনকে বিরক্ত করে।
সেই গামের গন্ধ যে সুস্থও করে তুলতে পারে তা কে জানত! কিন্তু এমনটাই হচ্ছে বলে দাবি করেছেন একদল গবেষক। ইউরোপিয়ান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন-এর একটি গবেষণায় বলা হচ্ছে যাঁরা সামাজিক উদ্বেগের শিকার তাঁদের উদ্বেগ কমাতে এই ঘামের গন্ধ কাজে লাগছে।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, তাঁরা স্বেচ্ছাসেবকদের বগলের ঘামকেই এজন্য বেছে নেন। তারপর তা তাঁদের বগলের তলা থেকে সংগ্রহ করা হয়। সকলের ঘামের গন্ধ আলাদা। সেগুলি আলাদা আলাদা করে সংগ্রহ করে সেটা উদ্বেগের শিকার মানুষজনের সংস্পর্শে আনা হয়। যাকে বলা হয় ‘কেমো সিগনালস’।
কেমো সিগনালস মানে সহজ করে বললে দাঁড়ায় গায়ের গন্ধ। যা স্বেচ্ছাসেবকদের বগলের তলার ঘাম থেকে সংগ্রহ করে তা কাজে লাগানো হয়। এখন এই সামাজিক উদ্বেগের শিকার মানুষজনকে মাইন্ডফুলনেস থেরাপি দেওয়া হয়। এটাই প্রচলিত চিকিৎসা।
কিন্তু গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই মাইন্ডফুলনেস থেরাপির সঙ্গে কেমো সিগনালস যুক্ত করে ২টি যখন একসঙ্গে এক রোগীর চিকিৎসায় কাজে লাগানো হচ্ছে তখন অনেক ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে।
এও দেখা গেছে যে মাইন্ডফুলনেস থেরাপি-র সঙ্গে যখন কোনও সামাজিক উদ্বেগের শিকার রোগীকে এই গায়ের গন্ধ চিকিৎসা হিসাবে প্রদান করা হচ্ছে, তাঁরা ৩৯ শতাংশ বেশি সুস্থ হয়ে উঠছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা