এটিএম বা দোকান থেকে বার হওয়া রসিদে লুকিয়ে আছে বড় বিপদ, বলছে গবেষণা
এটিএম থেকে টাকা তোলার পর লেনদেন সংক্রান্ত একটি কাগজ বেরিয়ে আসে। টাকার সঙ্গে সেটিও নিয়ে নেন গ্রাহক। সেই কাগজেও লুকিয়ে রয়েছে বিপদ।
এটিএম থেকে টাকা তোলার পর গ্রাহক তাঁর সেই লেনদেন সংক্রান্ত একটি রসিদ বা লেনদেন সংক্রান্ত হিসাবের কাগজ হাতে পান। টাকার পাশাপাশি সেই কাগজটিও এটিএম মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে। সেটি মিলিয়ে তাঁর সেই টাকা তোলার হিসাব নিয়ে নিশ্চিন্ত হন গ্রাহক।
আবার অনেকে বিভিন্ন মুদিখানার দোকানে বা অন্য কোনও দোকানে জিনিস কেনার পর সেখানে অনলাইনে হোক বা নগদে দাম মেটান। সেই দাম মেটানোর পর মেশিন থেকে একটি রসিদ বার করে গ্রাহকের হাতে দেন ক্যাশ কাউন্টারে থাকা কর্মী।
এটিএম থেকে বার হওয়া কাগজ হোক বা এই দোকানের রসিদ, সবই কিন্তু লুকিয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে গ্রাহক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীর জীবনে। সহজ কথায় ওই কাগজ যাঁর হাতে লাগছে তাঁরই বিপদ। এমনই দাবি করেছেন ইকোলজি সেন্টার অফ মিশিগান-এর গবেষকেরা।
তাঁদের দাবি, নানা এটিএম এবং দোকানের কাগজ সংগ্রহ করার পর দেখা গেছে ৮০ শতাংশ কাগজেই বিসফেনল ও বা বিসফেনল এস-এর অস্তিত্ব রয়েছে। যা শরীরে নানা অসুখ ডেকে আনে। যে তালিকায় ক্যানসারও রয়েছে।
কাগজগুলি হাতে নেওয়ার পর ওই ব্যক্তি জানতেও পারবেন না তাঁর দেহে সেই বিষ কীভাবে প্রবেশ করল! কারণ তা চামড়া দিয়ে অনায়াসে প্রবেশ করে দেহের মধ্যে। যা বোঝা সম্ভব নয়।
তাই ইকোলজি সেন্টার অফ মিশিগান-এর তরফে এটিএম এবং দোকানে মেশিন থেকে বার করা রসিদের জন্য পরিবেশ বান্ধব কাগজ অথবা ডিজিটাল রসিদ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা