দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি দিয়ে জীবন বদলে দিল ম্যাজিক চশমা
যাঁরা দৃষ্টিহীন বা যাঁদের সামান্যই দৃষ্টিশক্তি অবশিষ্ট রয়েছে তাঁদের জন্য এবার এক ম্যাজিক চশমা হাতে তুলে দিল বিজ্ঞান। যা তাঁদের জীবন বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ভারতেই এই মুহুর্তে দৃষ্টিহীনের সংখ্যা দেড় কোটি পার করেছে। আর যাঁরা সামান্যই এখনও দেখতে পাচ্ছেন এমন মানুষের সংখ্যা পার করেছে সাড়ে ১৩ কোটি। সংখ্যাটা রীতিমত উদ্বেগজনক।
এঁদের দুনিয়া হয় মিশকালো নয়তো অন্ধকারাচ্ছন্ন। এমন মানুষদের জীবনে আলোর দূত হয়ে এল এক ম্যাজিক চশমা। যা এই ভারতেই তৈরি হল। যা কার্যত দৃষ্টিহীন বা ক্ষীণ দৃষ্টির মানুষগুলোকে ফের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিচ্ছে।
চশমাটি চোখে পরলেই শুরু হবে তার চমৎকার। এমনই ক্ষমতা তার। চশমাটির সব ক্ষমতাই দাঁড়িয়ে আছে তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ওপর।
চশমায় লাগানো আছে একটি সেন্সর। চশমাটি পরার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চশমার কাচে সামনে যা রয়েছে তার ছবি দেখতে পাবেন। ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির মানুষদের এই সুবিধা দারুণ কাজে লাগবে।
সামনে কেউ এলে তাঁর মুখও চিনে নেবে চশমা। অবশ্য যদি সামনে আসা মানুষ পরিচিত হন। নাহলে জানান দেবে সামনে একজন রয়েছেন।
এছাড়া আশপাশে যা দেখা যাচ্ছে তা জানাবে চশমা। যাঁরা দৃষ্টিশক্তি হীন তাঁদের তা কাজে দেবে। এই জানান দেওয়ার জন্য চশমার সঙ্গই রয়েছে একটি কানের যন্ত্র।
হাল্কা চশমাটি নাকে চড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই যন্ত্রটিকেও কানে গুঁজে নিতে হবে। এবার চশমা যা দেখবে তা কানে বলতে থাকবে ওই যন্ত্রের মাধ্যমে।
ফলে যিনি চশমাটি পরে আছেন তিনি সবটাই জানতে পারবেন। সেইসঙ্গে চশমা জিপিএস-এর সাহায্য নিয়ে গন্তব্যেও পৌঁছতে সাহায্য করবে। কানে বলতে থাকবে কোথায় এলেন ওই ব্যক্তি। এটাও জানাবে যে রাস্তায় সামনে কোনও বাধা রয়েছে কিনা। সতর্ক হতে হবে কিনা।
এই চশমা তৈরি করেছে বেঙ্গালুরুর একটি স্টার্টআপ সংস্থা। তবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনল দিল্লির ডক্টর শ্রফ চ্যারিটি আই হসপিটাল।
যে চশমা কার্যত প্রযুক্তির এমন এক দান যা দৃষ্টিহীন বা ক্ষীণ দৃষ্টির মানুষদের নতুন জীবন দেবে। অন্য পথে ফিরিয়ে দেবে দৃষ্টি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা