হলদে কমলা রং এখন মানুষের জন্য রূপকথার জিয়নকাঠি
এ যেন রূপকথার গল্প। কিন্তু সেই রূপকথা লিখলেন বিজ্ঞানীরা। যা জানিয়ে দিল মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া রংয়েই লুকিয়ে জিয়নকাঠির ছোঁয়া।
মানবদেহের অন্যতম প্রধান যন্ত্রটি হল হার্ট বা হৃদযন্ত্র। সেটি তার ধুকপুকুনি বন্ধ করলে আর সব যন্ত্রই বৃথা। তাই হৃদয়ের যত্ন দরকার। যা নিয়ে নিরন্তর গবেষণা হয়ে চলেছে।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা হলে তার জন্য ওষুধ রয়েছে। অপারেশন রয়েছে। কিন্তু তা খারাপ হওয়াটাই যদি আগেভাগে আটকে দেওয়া যায় তাহলে তার চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে! আর সেই আটকে দেওয়ার জন্য খাবার এক অন্যতম হাতিয়ার।
গবেষকেরা দাবি করছেন আম, কুমড়ো, পাকা পেঁপে, গাজরের মত হলুদ বা কমলা ফল ও সবজিতে লুকিয়ে থাকে ক্যারোটিন। এই ক্যারোটিন আবার সবুজ ফল ও সবজিতেও থাকে। যেমন, লেটুস শাক, পালং শাক, ব্রকোলি, অ্যাপ্রিকট, ক্যাপসিকাম এবং এমন নানা সবজি।
ক্যারোটিন এমন এক উপাদান যা রক্তনালীতে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। ফলে রক্তনালীতে ব্লকেজ কম হয়। আর ব্লকেজ কম হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে হ্রাস পায়।
বিজ্ঞান বলছে রক্তে যত ক্যারোটিন বৃদ্ধি পায় ততই রক্তনালীতে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মাত্রা কমতে থাকে। যা যে কোনও হৃদরোগের কারণ।
অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস হল রক্তনালীর ভিতরে দেওয়ালে জমতে থাকা ফ্যাট। যা আদপে এক ধরনের খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল।
এটি যত জমে ততই রক্তনালী সরু হতে থাকে। তা দিয়ে রক্তপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর তার জেরে হৃদরোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আর এসব পরিস্থিতি থেকে শরীরকে মুক্ত রাখতে হলুদ, কমলা এবং সবুজ ফল ও সবজি খেতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। যাতে হৃদযন্ত্র এতটাই সুস্থ ও ভাল থাকে, যে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজনই না পড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা