সিগারেট ছেড়ে দেওয়া কাদের পক্ষে মুশকিল, জানলে অবাক হতে হয়
সিগারেট পান স্বাস্থ্যের পক্ষে যে ক্ষতিকর তা নানাভাবে চিকিৎসকেরা বোঝানোর চেষ্টা করে থাকেন। কাদের পক্ষে সিগারেটের আসক্তি ত্যাগ করা সহজ হচ্ছেনা জানলে অবাক হতে হয়।
সিগারেট পান এমন এক অভ্যাস যা মানুষের জীবনে ভয়ংকর ক্ষতি ডেকে আনে। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞেরা নানাভাবে মানুষের মধ্যে সিগারেট থেকে দূরে থাকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারপরেও পৃথিবী যে সিগারেট মুক্ত হতে পেরেছে এমনটা কিন্তু নয়।
এখনও নানা বয়সের মানুষের মধ্যে সিগারেট পানের প্রবণতা চারিদিকে তাকালেই নজরে পড়ে। অনেকে আবার সিগারেটে আসক্তি থেকে দূরে যেতে চাইছেনও। একটি গবেষণা বলছে যাঁরা সিগারেট ছাড়তে চাইছেন তাঁদের মধ্যে যাঁরা ১৮-২০ বছরের মধ্যে সিগারেট ধরেছিলেন তাঁদের সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
১৮ বছর বা তার আশপাশে সিগারেটে টান দেওয়া অভ্যাসে পরিণত করা মানুষজনের পক্ষে সিগারেট ছাড়া শক্ত হচ্ছে। তুলনায় যাঁরা ২৫ বছর বয়সের পর বা তারও পরে সিগারেট ধরেছিলেন তাঁরা সহজে সিগারেট ছেড়েও দিতে পারছেন।
গবেষকেরা বলছেন ১৮-র আশপাশের বয়সে যদি সিগারেট পানের অভ্যাস একবার হয়ে যায় তাহলে সদ্য তরুণ দেহে একটি নিকোটিন নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। যা এতটাই জেঁকে বসে যে তার থেকে সহজে রেহাই মেলে না। ফলে এদের পক্ষে সিগারেট ছাড়া বেশি শক্ত হয়।
এমনও নানা মহল থেকে দাবি উঠছে যে এটাই যদি সত্যি হয় তাহলে সিগারেট কেনার ন্যূনতম বয়স ২২ বছর করে দেওয়া হোক। তার চেয়ে কম বয়সীদের সিগারেট বিক্রি বন্ধ হোক।
প্রসঙ্গত অনেক দেশে সিগারেট কেনার কোনও বয়স নেই। কোথাও আবার ১৮ বছর বয়স হলেই সিগারেট কেনার ছাড়পত্র পাওয়া যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা