Health

মহাকাশচারীদের হাড়গোড় বাঁচানো কি সম্ভব, নতুন আশার আলো

মহাকাশচারীরা মহাকাশে ঘুরে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে থেকে নিজেদের গবেষণা চালান। কিন্তু তাঁদের হাড়গোড় কে বাঁচাবে। সেটা এখনও চ্যালেঞ্জ।

মহাকাশচারী হওয়াটা অবশ্যই গর্বের। যে কোনও দেশের মহাকাশচারীরা দেশের সম্পদ। তাঁরা রকেটে চেপে মহাকাশে পৌঁছে যান। সেখানে মহাকাশে ভেসে বেরিয়ে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে দিনের পর দিন কাটিয়ে তাঁরা গবেষণা চালিয়ে যান। এই গবেষণা মানবজাতিকে মহাকাশ সম্বন্ধে আরও গভীরভাবে জানতে সাহায্য করে। মহাকাশচারীরা মহাকাশে গেলে কিন্তু তাঁদের কিছু শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। এমনটাই দাবি করা হয়।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মহাকাশচারীদের হাড়ের। তাঁদের দেহের কঙ্কাল বড়সড় ধাক্কা খায়। যার কিছুটা পরিবর্তনও সুনিশ্চিত হয়। হাড়ের ঘনত্ব মহাকাশে কমতে থাকে।


পৃথিবীর নিচের কক্ষে থাকাকালীনও হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। এখানে ১ মাসে প্রায় ১ শতাংশ করে হাড় দুর্বল হয়। যা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন সকলেই।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া একটি গবেষণায় গবেষকেরা দাবি করেছেন, এনইএলএল-১ নামে একটি প্রোটিন রয়েছে, যা কিন্তু মহাকাশচারীদের এই হাড়ের সমস্যা মেটাতে পারে। ধরে রাখতে পারে মহাকাশচারীদের হাড়ের স্বাভাবিক ঘনত্ব।


এই গবেষণা যদি সঠিক প্রমাণ হয় তাহলে তা নির্দিষ্ট উপায়ে প্রয়োগ করে মহাকাশচারীদের আগামী দিনে হাড়ের সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে।

এখন যেখানে মানুষ চাঁদে যাওয়া, এমনকি মঙ্গলের মত গ্রহে যাওয়ার কথাও ভাবছে, সেখানে তাঁদের শারীরিক দিক থেকে মহাকাশে সুস্থ রাখার যাবতীয় সুরক্ষা কবচ সুনিশ্চিত হওয়াটাও জরুরি। সেই চেষ্টায় এই গবেষণা একটা দিশা দেখাল সন্দেহ নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button