সুস্থ হৃদয়ের জিয়নকাঠির সুলুকসন্ধান দিলেন চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্য
তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁর পরামর্শে চলা জীবনে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। তাঁকে কাছে পেয়ে সেই সুযোগটাই প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে কাজে লাগালেন অনেকে।
ডায়েট করলে ভাল থাকা যায় এমন কথা অনেক সময় শোনা যায়। ভাল থাকে হৃদযন্ত্র। এখন তো আবার নানা নামের নানা ধরনের ডায়েট তৈরি হয়েছে। কিটো ডায়েট, ভেগান ডায়েট, ভেজিটেরিয়ান ডায়েট, মেডিটেরানিয়ান ডায়েট এবং এমন কত কি! প্রতিটি ডায়েটের খাদ্য তালিকা আলাদা। মেনে চলার নিয়মও আলাদা।
অনেকর ধারনা এমন সব ডায়েট তাঁদের দারুণ একটা জীবন দিতে পারে। হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে পারে। কিন্তু সেটা কি একশো শতাংশ সত্য! এখানেই ভুল ভাঙালেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রভাত ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, এমন ডায়েট সব আবহাওয়ার মানুষের জন্য নয়। এক এক আবহাওয়া, পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাসের ওপর ডায়েট নির্ভর করে। যেমন নোনা জলের মাছ পুকুরে বাঁচেনা বা মিষ্টি জলের মাছ সমুদ্রে বাঁচেনা, তেমনই কোনও একটা ডায়েটের নাম শুনেই ডায়েট বেছে নেওয়াটা ভুল।
চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্যের মতে, ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ডাল, ভাত, তরকারি, মাছও খুব ভাল একটি ডায়েট। মাসে ১ দিন রেড মিট বা আম বঙ্গবাসীর অতি পছন্দের পাঁঠার মাংসও চলতে পারে। হৃদযন্ত্রের জন্য মাখন ভাল কিছু নয়, ভাল নয় অতিরিক্ত ডিমও। সপ্তাহে ২টি ডিমের কুসুমের বেশি নয়।
বিরিয়ানি খাওয়ার প্রবণতার বাড়বাড়ন্ত নিয়েও সাবধান করেন প্রভাতবাবু। এভাবে প্রায় দিন বিরিয়ানি কিন্তু তাঁর মতে হৃদযন্ত্রের জন্য মোটেও উপকারি নয়।
ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে সেরাম ইন্সটিটিউট তাদের অডিটোরিয়ামে একটি মনোজ্ঞ আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রভাত ভট্টাচার্য। উপস্থিত অনেকের হৃদযন্ত্রের ভাল মন্দ নিয়ে প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে। সব প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সাবলীল এবং সকলের বোধগম্য হতে পারে এমন সরল ভাষায় বুঝিয়ে বলেন চিকিৎসক ভট্টাচার্য।
আলোচনাসভা শেষে একটি বিনামূল্যে হৃদযন্ত্র পরীক্ষারও আয়োজন হয়েছিল। সেখানে অনেককে পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করেন চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্য।
হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে তো সকলেই চান। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেননা কীভাবে কি করলে হৃদযন্ত্রটি দীর্ঘকাল ভাল থাকবে। সেটি এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকের কাছেই অনেকটা পরিস্কার করে দিয়েছেন চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্য।