কেরালার এক কলেজ পড়ুয়ার দেহে মিলেছে নিপা ভাইরাসের জীবাণু। এই মারণ ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে সেজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন চিকিৎসকেরা। ওই ছাত্রকে একদম আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে। তার ধারে কাছে আসা সকলকেই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে ওই ছাত্রের দেহে যে নিপা ভাইরাস রয়েছে তা নিশ্চিত বলেই জানিয়েছেন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা। তবে তিনি রাজ্যবাসীকে নিশ্চিন্ত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। কোনওভাবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই ধুম জ্বরে আক্রান্ত ওই পড়ুয়া আপাতত কোচির কাছে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সংস্পর্শে আসা ৮৬ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাদের আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। যারমধ্যে ২ জনের জ্বর রয়েছে। এছাড়া ২ জন নার্সেরও জ্বর এসেছে। তাঁরা ওই পড়ুয়ার সেবার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ওই পড়ুয়ার জ্বর না কমায় তাঁর রক্ত, মূত্র পাঠানো হয়েছিল পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসে ওই পড়ুয়ার দেহে নিপা ভাইরাসের দেখা মিলেছে। তারপরই এ কথা নিশ্চিত করেন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যে ৮৬ জনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে তাঁদের সকলের নমুনা পাঠানো হচ্ছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে।
গত বছর মে মাসে কেরালার কোঝিকোড় ও মালপ্পুরমে নিপা ভাইরাস ছড়ায়। ২২ জন আক্রান্ত হন। তাঁর মধ্যে ১২ জনের প্রাণ যায়। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সকলকে আতঙ্কিত হতে মানা করেছেন। তবে সতর্ক করেছেন যে কোনও ফল খাওয়া নিয়ে। কারণ এই নিপা ভাইরাসের জীবাণু বহন করে বাদুড়। বাদুড় ফলে মুখ দিয়ে থাকলে তা থেকে নিপা ছড়ানোর আশঙ্কা থাকতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা