শাড়িতেও লুকিয়ে আছে প্রাণ কাড়া ভয়, কীভাবে বোঝালেন চিকিৎসকেরা
ভারতীয় নারীর সঙ্গে শাড়ির যোগ আজকের নয়। শাড়ি ভারতীয় নারীর কেবল পোশাক নয়, গর্বও। সেই শাড়িতেও লুকিয়ে আছে হাড় হিম করা ভয়।
শাড়ি পরতে ভালবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হতে পারে দৈনন্দিন জীবনের দৌড়ে ছুটতে গিয়ে শাড়ি বিশেষ পরা হয়না। কিন্তু তার মানে শাড়ি ভালবাসেন না এমন নারী দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে।
ভারতীয় নারীর শাড়ির প্রতি এই ভালবাসাতেও এবার চিন্তার ভাঁজ। অন্তত চিকিৎসকেরা যা বলছেন তাতে তো বটেই। মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ এবং বিহারের মধুবনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা শাড়ি থেকে ক্যানসারের কথা বলছেন।
ইতিমধ্যেই তাঁদের হাতে ২টি এমন ঘটনাও এসেছে। যেখানে ২ জন নারী এমন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। শাড়ি পরলেও ক্যানসার হতে পারে! এটা বোধহয় কেউ ভাবতেও পারেননি। চিকিৎসকেরা অবশ্য জানাচ্ছেন যে এর মূল লুকিয়ে আছে আদপে পেটিকোটে।
অনেকে পেটিকোটের দড়ি বেশ শক্ত করে কোমরে বেঁধে নেন। তারপর তার ওপর শাড়ি জড়ান। শাড়ির একটি অংশ পেটিকোটে গুঁজে তবেই শাড়ি পরা সম্ভব।
পেটিকোট শক্ত করে কোমরে বাঁধা থাকলে শাড়িও শক্ত করে বসে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন এই চেপে বাঁধা থেকেই যাবতীয় সমস্যার জন্ম হচ্ছে।
কোমরে একধরনের চর্মরোগ তৈরি হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে তা ক্রমে এক বিশেষ ধরনের কার্সিনোমার রূপ নিচ্ছে। যাকে বলা হচ্ছে আলসারেটিং স্কিন ক্যানসার।
এমন রোগী তাঁদের কাছে এসেছেন বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যাঁদের মধ্যে ১ জনের বয়স ৭০ বছর। এভাবে শক্ত করে পেটিকোট বেঁধে শাড়ি পরার পর এঁদের যে চর্মরোগ হয় তা দীর্ঘসময় ধরে সারছিল না।
পরে দেখা যায় সেখানে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে। একে শাড়ি ক্যানসার বলা হলেও চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন যেহেতু পেটিকোটের দড়ি শক্তি করে বাঁধার ফলেই যাবতীয় ঘটনা ঘটছে তাই একে পেটিকোট ক্যানসার বলা উচিত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা