যে কোনও দিন আর এক অতিমারি থাবা বসাবে, তৈরি থাকতে বললেন প্রাক্তন হু ডিরেক্টর
করোনা অতিমারির দিনগুলো এখনও সারা পৃথিবীর মানুষের মনে তাজা। একদম সেইরকম আর এক অতিমারি যে কোনও দিন থাবা বসাবে। সতর্ক করলেন প্রাক্তন হু ডিরেক্টর।
২০২০ সালে শুরু। ক্রমে এক এক করে দেশ তার কব্জায় চলে আসে। ভারতে করোনা থাবা বসায় সে বছর মার্চ মাসে। করোনা স্তব্ধ করে দিয়েছিল পৃথিবীকে। প্রাণ কাড়া তো ছিলই, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের কাজ চলে যাওয়া, অর্থনীতির চরম বিপর্যয় বহু মানুষের জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনে।
সেসব দিন এখনও তাজা মানুষের মনে। গৃহবন্দি দশা, কর্মহীন দিন, শুধু আতঙ্ক বয়ে বেড়িয়েছে। প্রায় ৩ বছর লেগে যায় পৃথিবীকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলে ওঠার পর এবার ফের এমন এক অতিমারির জন্য তৈরি থাকতে বলছেন হু-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর মারিও সিবি ব়্যাভিগলিওন।
তিনি দাবি করেছেন, পশু থেকে ছড়ানো ভাইরাস থেকেই ফের শুরু হবে এক অতিমারি। তা কবে থাবা বসাতে পারে? মারিও-র মতে, যে কোনও দিন। আচমকাই পৃথিবী দেখবে ফের এক অতিমারি এসে হাজির হয়েছে। আর তা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
কেন আবার অতিমারি? মারিও-র ব্যাখ্যা পৃথিবী এখন একটা গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্ব গ্রামে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি দেশ প্রতিটি দেশের সঙ্গে সংযোগ বহন করে চলছে। প্রতিটি দেশেই নানা কারণে বিদেশিদের যাতায়াত লেগে আছে।
এই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত পৃথিবীতে অতিমারি ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবেনা। তিনি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, পশ্চিমী দুনিয়ায় ইতালিই ছিল প্রথম দেশ যেখানে করোনা ছড়ায়। কিন্তু সেই করোনাকে ইতালিতেই আটকে রাখা যায়নি। তা হুহু করে সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
এবারও শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যাই হুহু করে ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মারিও। তবে কি ফের এক অতিমারি আসতে চলেছে? পৃথিবী চাইছে এমনটা আর যেন না হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা