রাতে একটা দারুণ ঘুম সারাদিনটা সকলকে সুস্থ রাখে। কাজ ভাল হয়। শরীর ভাল থাকে। এনার্জি কাজ করে। সবচেয়ে বড় কথা দারুণ একটা ঘুমের পর সকালে বেশ একটা ফুরফুরে তরতাজা বোধ হয়। কিন্তু অনেকেরই ওই রাতে দারুণ ঘুমটা হয়না। মাঝেমধ্যেই ঘুম ভাঙার অভিযোগ অনেকেরই। এক ঘুমে ভোর কম মানুষের কপালে জোটে। কিন্তু হলে বড় ভাল হয়। তাহলে উপায়? অনেকেই উপায় খুঁজতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। তাঁদের ঘুমের ওষুধও অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোনও ওষুধ ছাড়া ঘুমটা দারুণ হলে সবচেয়ে ভাল হয় তাইনা! সেই তোফা ঘুমের যাদুকাঠির এবার সন্ধান পেয়ে গেলেন গবেষকেরা।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা দাবি করছেন খুব ছোট্ট একটা কাজ করলেই মিলবে রাতভর তোফা ঘুম। তাঁদের দাবি, গবেষণার পর তাঁরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে কেউ যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে একটি হট বাথ বা গরম জলে স্নান সারেন তবে তাঁর রাতে দারুণ ঘুম হবে। তবে শর্ত রয়েছে। যে গরম জলে স্নান তিনি করবেন সেই জলের তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হতে হবে। তাহলেই আর কিছু করার দরকার নেই। স্নান সেরে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর ঘুমোতে যাওয়ার অপেক্ষা। তারপর বিছানায় শুয়ে ঘুম। একদম এক ঘুমে ভোর হবে তাঁর জন্য।
হিউস্টনের ইউটি হেলথ সায়েন্স সেন্টার ও সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ৫ হাজার ৩২২টি নানা ধরনের পরীক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করেন গবেষকেরা। এরপর মেটা অ্যানালেটিক্যাল টুলস ব্যবহার করে তাঁরা এই হট বাথের তত্ত্বের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেন। এখান থেকেই তাঁরা সিদ্ধান্তে আসেন যে ঘুমের মান সবচেয়ে ভাল হয় ওই ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ থেকে ১০৯ ফারেনহাইট তাপমাত্রার জলে স্নান করে দেড় ঘণ্টা পর ঘুমোতে গেলে। জলের তাপমাত্রা বা ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে গণ্ডগোল করলে কিন্তু তোফা ঘুম থেকে সেই বঞ্চিতই হতে হবে সকলকে। তাই এগুলির দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা