প্রত্যেকদিনের জীবনের সঙ্গে ফোন জিনিসটা কার্যত জড়িয়ে গিয়েছে। একটা দিন তো বাদ দিন, একটা ঘণ্টা ফোন ছাড়া থাকা এখন মুশকিল হচ্ছে। ফলে চান, না চান ব্যস্ত জীবনে ফোনে অনেকেরই ৫ ঘণ্টার বেশি কেটে যায়। প্রয়োজনে ফোন হোক, বা গল্প করতে ফোন। ফোন কানে গুঁজে দিনে সব মিলিয়ে ৫ ঘণ্টার বেশি কাটানো কিন্তু মানুষের জীবনে চরম বিপদ টেনে আনছে। পেশাগত কারণে ফোন তো ঠিক আছে এমনকি কলেজ জীবনেও বহু ছাত্রছাত্রীই ফোনকে জীবনের একটা বড় সময় দিয়ে দিচ্ছেন।
গবেষকরা বলছেন দিনে ৫ ঘণ্টার বেশি ফোনে কাটানো মানেই শরীরে জন্ম নেবে অতিরিক্ত মেদ। শুরু হবে মোটা হওয়া। সেই মোটা হওয়া একটা সময় বিপজ্জনক অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে মানুষকে। ১৯-২০ বছরের ছেলেমেয়েদের ওপর গবেষণা করা হয়েছিল কলম্বিয়ায়। সেখানে ১ হাজার ৬০ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেছেন ৫ ঘণ্টার বেশি যাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাঁদের মধ্যে স্থূলতা ক্রমশ চেপে বসছে।
গবেষকেরা দেখেছেন ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত মোটা হয়ে যেতে পারেন যে কোনও বয়সের মানুষ যদি তিনি দিনে ৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ফোনে কাটান। তাই তাঁদের পরামর্শ স্মার্টফোনকে কাজে লাগান। কিন্তু তাতে ৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাটাবেন না। তাতে সমস্যা বাড়বে। এই সচেতনতা এখন সব বয়সের মানুষের জন্যই জরুরি হয়ে উঠেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা