আত্মহত্যার খবর সারা বছরই পাওয়া যায়। কিন্তু বছরের কোন সময়ে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় সেকথা জানালেন গবেষকেরা। সেই সঙ্গে তাঁরা আরও জানান ওই সময় আত্মহত্যার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটুকথা বলার প্রবণতাও বেড়ে যায়। গবেষকেরা জানাচ্ছেন গরমকালে মানুষ সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়েন। যত গরম বাড়ে ততই এই প্রবণতাও বাড়তে থাকে। চমকে দেওয়ার মত এই তথ্য সামনে এনে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া এই গবেষণা জানাচ্ছে, আমেরিকা ও মেক্সিকোতে গরম যত বাড়তে থাকে ততই আত্মহত্যা বাড়তে থাকে। অন্য দেশেও এই খতিয়ান প্রায় একই রকম।
গবেষকেরা অবশ্য মেনে নিচ্ছেন শুধু গরমই নয়, তার সঙ্গে পরিবেশ পরিবর্তন ও আর্থিক সংকট বড় ভূমিকা নিচ্ছে এই আত্মহত্যার প্রবণতায়। মানুষের মধ্যে আর্থিক অনিশ্চয়তা তাঁদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে তা গরমকালে বাড়তে দেখা যাচ্ছে বলে মেনে নিয়েছেন তাঁরা। যেভাবে গরম আমেরিকা ও মেক্সিকোর মত দেশে বেড়ে চলেছে তাতে ২০৫০ সালের মধ্যে আরও অতিরিক্ত ২১ হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটবে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা প্রায় ৫০ লক্ষ ট্যুইট পর্যবেক্ষণের পর জানিয়েছেন গরম বাড়লে মানুষের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটুকথা বলার প্রবণতাও বাড়ে। গরমকালে যে আত্মহত্যা বাড়ে তা নিয়ে আগেও গবেষণা হয়েছে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন বেকারত্বের হারও আত্মহত্যায় প্রভাব ফেলে। এমনকি দিনের আলো কত বেশি সময় থাকছে তার ওপরও নির্ভর করে আত্মহত্যার হার। সব মিলিয়ে স্ট্যানফোর্ডের গবেষকরা এবার অনেকটাই নিশ্চিত যে গরম বাড়ার সঙ্গে আত্মহত্যার প্রবণতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তাঁরা আরও নিশ্চিত হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মানুষের বক্তব্য দেখে। সেখানে যেসব কথা লেখা হয় গরম বাড়লে তা থেকেও আত্মহত্যার প্রবণতা স্পষ্ট বলে মনে করছেন গবেষকেরা। এই গবেষণার সময় আগে মার্কিন মুলুকের গরমের রেকর্ড ও সে সময়ে আত্মহত্যার সংখ্যা এবং এখন সেই সংখ্যাকে পাশাপাশি ফেলে খতিয়ে দেখেছেন গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা