গলব্লাডারে স্টোন বা গলস্টোন অনেকের দেহেই অজান্তে বড় হতে থাকে। অথবা একাধিক অগুন্তি টুকরোয় স্টোন তৈরি হতে থাকে গলব্লাডারে। পেটে হাল্কা যন্ত্রণা অনেক সময়ই গ্যাসের ব্যথা বলে এড়িয়ে যান অনেকে। প্রথমদিকে সেভাবে বোঝাও যায়না। তবে যাঁরা চিকিৎসকের কাছে যান তাঁরা জানতে পারেন গলব্লাডারের বড় হচ্ছে পাথর। যা ইউএসজি বা আলট্রা সোনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে। গলস্টোন ঠিক কেন হয় তা চিকিৎসকেরা হলফ করে বলতে পারেননা। তবে তা যাতে না হয় তার গবেষণা থেকে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
গলস্টোন হলে গলব্লাডার কেটে বাদ দেওয়া ছাড়া তেমন অন্য কোনও চিকিৎসা নেই। আর দেহের একটি অংশ চিরকালীন ছেঁটে ফেলার কিছু প্রভাব তো শরীরে থেকেই যায়। গলস্টোন হলে তা ওষুধ দিয়ে গলিয়ে ফেলার সুযোগ বড় একটা থাকেনা। বরং গলব্লাডারটাই ফেলে দিতে বেশি পছন্দ করেন চিকিৎসকেরা। অর্থাৎ গলস্টোন হওয়া মানে শরীর থেকে গলব্লাডারের বিলুপ্তি নিশ্চিত। তাই গলস্টোন আটকানোর ঘরোয়া উপায় জেনে রাখাই ভাল। গবেষকরা সেখানেই অনেকটা সফল। তাঁদের দাবি, যাঁরা নিয়মিত কফি খান তাঁদের গলস্টোন হওয়ার সম্ভাবনা কম।
একটি চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত ম্যাগাজিনে গবেষণার ফল প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ১ লক্ষ ৪ হাজার ৪৯৩ জন ব্যক্তির ওপর পরীক্ষা চালানোর পর তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে যিনি দিনে নিয়ম করে ৬ কাপ কফি খান তাঁর গলস্টোন হওয়ার সম্ভাবনা ২৩ শতাংশ কমে যায়। ৬ কাপ কমপক্ষে। গবেষকরা আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ৬ কাপের পরও যদি কেউ আরও ১ কাপ কফি বেশি খান তাহলে আরও অতিরিক্ত ৩ শতাংশ সম্ভাবনা কমে। যদিও ভারতের মত দেশে এতটা কফি খাওয়ার প্রচলন নেই। তবে গবেষকরা দেশ কাল পাত্র নির্বিশেষে গবেষণালব্ধ ফলের কথা জানিয়েছেন। যেখানে গলস্টোন রুখতে মোক্ষম পানীয় হিসাবে উঠে এসেছে কফির নাম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা