কাজের চাপে হোক বা দীর্ঘ সময় রাস্তায় কাটানো বা দীর্ঘ সফরের কারণে সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া সম্ভব হয়না অনেক সময়। ফলে খিদে থাকে। পাকস্থলী খালি হয়ে যায়। খাবার খাওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু অনেকেই সময়ের অভাবের কারণে বা গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজের কারণে খাবার খেতে দেরি করেন। পেট খালি থেকে যায় ওই সময়টা। সে সময় কাজটা সম্পূর্ণ করতে হয়। কাজ সেরে তারপর খাওয়ার সময় পান অনেকে।
গবেষকেরা বলছেন, এভাবে পেট খালি থাকলে কখনই কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের রাস্তায় হাঁটা উচিত নয়। সে সিদ্ধান্ত ব্যাবসায়িক হতে পারে। অথবা ধরুন কোনও নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে মাইনে নিয়ে কথা হোক। অথবা কোনও বিষয় কেনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হোক। অথবা অন্য কোনও বড় সিদ্ধান্ত।
ব্রিটেনের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, খালি পেট থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মানুষ হরবর করেন। কমেতে রাজি হয়ে যান। যদিও সেখানে দরদাম করার রাস্তা হয়তো ছিল। একটু ধৈর্য ধরে চেষ্টা করা যেত যতটা সম্ভব টাকাটা বাড়িয়ে নেওয়ার। কিন্তু খালি পেট তা করতে দেয়না। বরং দ্রুত কমেতেই রাজি হয়ে যান। যা মাইনে স্থির করার সময় হতে পারে। বা কোনও ব্যাবসায়িক বোঝাপড়ার সময়। ফলে এমন কোনও কাজ করার আগে অবশ্যই খেয়ে নেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।
খালি পেট থাকলে মানুষ দ্রুত সিদ্ধান্ত বদলাতে থাকেন বলেও দাবি করেছেন গবেষকেরা। ফলে খালি পেটে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাস্তায় হাঁটতে কার্যত মানাই করছেন তাঁরা। সারা বিশ্বে একদিনে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সেক্ষেত্রে মানুষের অনেক ভুলও হয়তো থাকে। কারণ কথায় বলে মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। তবে সেই ভুল যদি খালি পেটের জন্য হয় তবে তা অবশ্যই দুর্ভাগ্যের। তাই ওটুকু ঠিকঠাক রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে হাঁটাই ভাল বলে মনে করছেন গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা