পুজোর সঙ্গে খাওয়ার সম্পর্কটা আজকের নয়। কব্জি ডুবিয়ে ভূরিভোজ না হলে বাঙালির উৎসব ষোলো কলা পায়না। আর উৎসবের মরসুমে পাঁঠার মাংসের নানা পদ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। কিন্তু পিছন থেকে টেনে ধরে রাখে এক অদৃশ্য দড়ি। যা বলে ভুলেও রেড মিট খেও না! খেলে হৃদপিণ্ডের দফারফা! আরও নানা সমস্যা জড়িয়ে ধরবে তোমায়। তাই লোভ সম্বরণ করে অনেকেই শত ইচ্ছাকে পা দিয়ে পিষে মাটনের জায়গায় চিকেন দিয়ে চালিয়ে নেন।
ধারণাটা ভুলও নয়। চিকিৎসকেরাই মানা করছেন রেড মিট খেতে। ফলে অনেকেই চুটিয়ে খাসির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণার পর গবেষকেরা ঠিক উল্টো কথা বললেন। তাঁরা জানিয়েছেন যাঁরা রেড মিট খান তাঁরা তা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। খেতে পারেন প্রক্রিয়াজাত মাংসও। কোনও সমস্যা নেই।
ভোজন রসিক বাঙালি অবশ্যই এমন আশ্বাসে নড়ে চড়ে বসবে। তবে মনে রাখতে হবে এটা গবেষণালব্ধ ফল। একদম চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক। ম্যাকমাস্টার ও ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞেরা ৫৪ হাজার মানুষের ওপর ১২টি ট্রায়ালের পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে রেড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংস নিয়মিত খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগ, ক্যানসার বা ডায়বেটিসের তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। রেড মিট খাওয়ার কুপ্রভাবও যৎসামান্য।
যদিও গবেষণা এমনই আশ্বাস দিচ্ছে তবু চিকিৎসকের যদি মানা থাকে তবে অবশ্যই তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেই রেড মিট খাওয়ার রাস্তায় হাঁটা উচিত। কারণ এক একজন মানুষের দৈহিক সমস্যা এক এক রকম। ফলে তার সঙ্গে খাপ খাইয়েই তাঁর খাদ্যতালিকা তৈরি হয়। তাঁর দৈহিক অবস্থার কথা তাঁর চিকিৎসকই ভাল জানেন। তাই তাঁর পরামর্শ সর্বাগ্রে নেওয়া দরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা