অনেকেরই রোজগার আচমকা কমে যায়। কারণ যাই হোক। কারও চাকরি চলে যায়। কারও ব্যয় সংকোচের জেরে মাইনেতে কোপ পড়ে। ব্যবসায়ীদের বিক্রিবাটা কমার আশঙ্কা থাকে। এমন নানা কারণে রোজগার কমে যেতে পারে। যে বার্ষিক রোজগারে কেউ অভ্যস্ত তার চেয়ে সামনের বছর একটু বাড়ুক এটা সকলেই চান। কিন্তু কমে যাক কেউই চাননা। তবু বাস্তব বলছে এমন আকছার হয়। মানুষের রোজগার কমে যায়। এই সমস্যা তাঁদের জীবনে আর্থিক সমস্যাই ডেকে আনেনা, ডেকে আনে শারীরিক সমস্যা।
গবেষকেরা বলছেন রোজগার ২৫ শতাংশ বা তার বেশি কমলে মানুষ মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করেনা। এঁদের ক্ষেত্রে মধ্যবয়সেই মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যায়। দুর্বল হয়ে পড়ে মস্তিষ্ক। ফ্রান্সের ইনসার্ম রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা জানাচ্ছেন তাঁরা ২০০০ সালে মার্কিন মুলুকে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি থেকে এই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তাঁরা গবেষণা চালান।
গবেষকেরা ২৩ বছর বয়স থেকে ৩৫ বছর বয়সের প্রায় ৩ হাজার ২৮৭ জনের ওপর এই পরীক্ষা চালান। জাতিগত দিক থেকেও এঁরা ভিন্ন ছিলেন। আচমকা রোজগার কমা এই ব্যক্তিদের ভাবনার ও মানসিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। দেখা যায় এঁদের যাদের দ্বিগুণ রোজগার কমেছে তাঁদের পরীক্ষার ফল সবচেয়ে খারাপ হয়েছিল। কিন্তু যাঁদের রোজগার ঠিক ছিল তাঁদের ফল কিন্তু ভাল হয়েছিল। এখান থেকেই একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা