এখন অনেক অফিসেই সারা দিনরাত কাজ চলে। শিফট বদলায়। কিন্তু কাজ থামে না। ফলে অনেককেই নাইট শিফটে কাজ করতে হয়। ফলে রাতের ঘুম হয়না। অভ্যাস ধাক্কা খায়। সকালে ঘুমোলেও রাতের মত ঘুম হয়না। সব মিলিয়ে শরীরের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়তে থাকে। তবে এই বিরূপ প্রভাব কিন্তু গবেষকদের মতে মারাত্মক হচ্ছে। শরীরে সকলের অজান্তেই দানা বাঁধছে বিপদ।
পড়ুন : এই শিফটে কাজ আগাম রজঃস্রাব বন্ধের কারণ হতে পারে
ঘুমের নিয়ম বদল থেকে যে স্লিপ ডিসঅর্ডার তৈরি হচ্ছে তা আদপে বাড়িয়ে দিচ্ছে হৃদরোগের সম্ভাবনা। সেইসঙ্গে বাড়ছে আচমকা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা। রাতের শিফটে কাজ মানুষের দেহে জন্ম দিচ্ছে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের। গবেষকরা জানাচ্ছেন তবু যাঁরা সব সময় নাইট শিফট করে চলেছেন, সারা বছর তাঁদের নাইট শিফটেই কাজ করতে হয়, তাঁদের একটা অভ্যাস তৈরি হতে শুরু করে। তাতে তাঁদের ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু যাঁরা কখনও নাইট শিফট, কখনও সকালে, কখনও বিকেলের শিফটে কাজ করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা আরও ভয়ংকর।
পড়ুন : এই কাজটি শরীরে ডেকে আনছে বিপদ, ক্ষতি করছে ডিএনএ-র
গবেষকরা বলছেন মানুষের শরীরের একটা নিজস্ব ঘড়ি আছে। সেই ঘড়ি অনুযায়ী শরীর তার যাবতীয় কাজ করে থাকে। প্রতিদিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা শরীরের ঘুমের দরকার। সেই ঘুম অন্য সময়ে সম্পূর্ণ হয়না। ফলে তা শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে প্রভাব ফেলে। নানা অসুখ দানা বাঁধে শরীরে। তাই নাইট শিফট কাজের জন্য প্রয়োজন হলেও শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয় বলেই সতর্ক করেছেন গবেষকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা