রানি মুখোপাধ্যায়ের ‘হিচকি’ নিয়ে চর্চা এ দেশে প্রচুর হয়েছে। সেই হিচকি পুরস্কার জিতে নিল ইতালি থেকে। তাও আবার কাদের ভোটে! ১০ থেকে ১২ বছরের বাচ্চারা ছিল এই পুরস্কার জেতার পুরোধা। ইতালিতে অনুষ্ঠিত জিফোনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এবার জায়গা পেয়েছিল ভারতের হিচকি। এলিমেন্টস+১০ নামে একটি বিভাগে সিনেমাটি জায়গা পায়। সেখানে ৭টি দেশের সিনেমা জায়গা পেয়েছিল। ভারতের হিচকি ছাড়াও ছিল চিন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়ার সিনেমা।
এলিমেন্টস+১০ বিভাগে বিচারক ছিল দেড় হাজার জন। সকলেরই বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। এরা প্রত্যেকটি সিনেমা দেখার পর ভোট দেয়। সেই ভোটাভুটিতে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে হিচকি। তার জোরেই হিচকি জিতে নেয় গ্রিফন অ্যাওয়ার্ড। এটা অবশ্যই হিচকির জন্য বড় প্রাপ্তি। ইতালির কোনও সিনেমা উৎসব থেকে পুরস্কার জেতা হিচকিকে অন্য মাত্রা দিল। সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাদের মনে কোথাও দাগ কাটতে সমর্থ হল হিচকি।
হিচকি সিনেমায় রানি মুখোপাধ্যায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি নিজে নার্ভাস সিস্টেম ডিসঅর্ডারের রোগী। তাঁর হেঁচকি ওঠে। এদিকে স্কুলে সমাজের পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের ভিড়। তাদের একটা জায়গায় তুলে আনা। তাদের শিক্ষিত করে তোলার লড়াই লড়েন রানি। নিজের একটা বড় সমস্যা থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের টেনে তুলে আনাই এই সিনেমার সবচেয়ে বড় বার্তা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা