কোন শালগ্রাম শিলা স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ, শালগ্রাম শিলার বিশদ ব্যাখ্যা
শালগ্রাম শিলা-গণ্ডকী নদীর প্রদেশে বিরাজিতা। এই শিলাতে চক্রচিহ্নের প্রভেদে নামেরও প্রভেদ হইয়া থাকে। শিলা যত ক্ষুদ্রাকৃতি হইবে ততই শুভপ্রদ।
শালগ্রাম শিলা-গণ্ডকী নদীর প্রদেশে বিরাজিতা। শালগ্রাম শিলাতে চক্রচিহ্নের প্রভেদে নামেরও প্রভেদ হইয়া থাকে। যে শালগ্রামের চক্রচিহ্ন দক্ষিণাবর্ত্তভাবে বনমালা চিহ্ন বিরাজিত তাহাকে কৃষ্ণ বলে। শালগ্রাম শিলা যত ক্ষুদ্রাকৃতি হইবে ততই শুভপ্রদ।
স্ত্রিয়ো বা যদি বা শূদ্রা ব্রহ্মণাঃ ক্ষত্রিয়াদয়ঃ।
পূজয়িত্বা শিলাচক্রং লভন্তে শাশ্বতং পদম্।।
অত্র অবৈষ্ণবৈঃ শূদ্রৈস্তাদৃশীভিশ্চ স্ত্রিভিস্তৎ পূজা ন কর্ত্তব্য।
যথাবিধিগৃহীতাবিষ্ণুদীক্ষাকৈশ্চ তৈঃ কর্ত্তব্যেতি ব্যবস্থাপনীয়ম্য়তঃ
শূদ্রেষবন্ত্যজেষবপি যে বৈষ্ণবাস্তে শূদ্রাদয়ো ন কিলোচ্যন্তে।
শালগ্রামশিলার প্রতিষ্ঠা নিষেধ : শালগ্রামশিলায়ন্ত প্রতিষ্ঠা নৈব বিদ্যতে। মহাপূজান্তকৃত্বাদৌ পূজয়েত্তাং ততো বুধঃ। শালগ্রামশিলৈব স্যাদধিষ্ঠানোত্তমং হরেঃ।।
শালগ্রামশিলার প্রতিষ্ঠা করিতে নাই। সুধী ব্যক্তি প্রথমে মহাপূজা করিয়া তৎপর শিলার অর্চ্চনা করিবেন। প্রতিমূর্ত্তি সমূহের মধ্যে শালগ্রামশিলাই শ্রীহরির অত্যুত্তম অধিষ্ঠান।
মূর্ত্তি দ্বিবিধ : – স্বয়ং প্রকাশিত আর স্থাপিত। স্বয়ং প্রকাশিতকে সাক্ষাৎ কৃষ্ণ বলিয়া জানিবে। যাহার প্রতিষ্ঠা হইয়াছে তাহাকে স্থাপিত বলে। পাষাণ, মৃত্তিকা, কাষ্ঠ ও লৌহ প্রভৃতি দ্বারা গঠিত প্রতিমূর্ত্তি শ্রুতি, স্মৃতি ও তন্ত্র কথিত বিধানে প্রতিষ্ঠাকে “স্থাপন” বলে। শ্রীহরি ধরাতলে যে শিলা বা কাষ্ঠে নরগণের নিকটে অবস্থিতি করেন তাঁহাকেই স্বয়ং প্রকাশিত বলা হয়। স্বয়ং প্রকাশিত মূর্ত্তি সহজ প্রাপ্র নহে। অতএব যথাবিধি প্রতিষ্ঠা পূর্ব্বক স্থাপিত মূর্ত্তির পূজা করিবে।
মূর্ত্তি পূজা : যখন শালগ্রামই ভগবানের প্রধান অধিষ্ঠান তখন শালগ্রামশিলারই অর্চ্চনা কর্ত্তব্য? ইহার উত্তরে মহাপ্রভু বলিয়াছেন যে ব্যক্তি বাসুদেবের মনোমোহন গোকুলোৎসব মূর্ত্তি পূজা করিতে অভিলাষী কেবল তাহার জন্যই মূর্ত্তি পূজার বিধি।
সুলক্ষণ শালগ্রাম : বেশ চক্র থাকবে – গোমুখী। আর আর সব লক্ষণ থাকবে – তাহলে ভগবানের পূজা হয়। ব্রহ্মাণ্ড একটি শালগ্রাম। – কমৃ-৪ (পূঃ ২২০)
বাণলিঙ্গো নর্ম্মদায়াং। নর্মদানদী মধ্যে পাওয়া যায় স্ফটিকে নির্মিত। সিলিকা-বালিতে যে চক্চকে কাঁচের মত পদার্থ থাকে। – (কমৃ-৫/পৃঃ ৬৯)